‘শামস সাইদ’ প্রতিনিধিত্বশীল গল্প লেখক। ট্যালেন্ট বয়’ তার প্রকাশিত তৃতীয় বই। বইটি মূলত শিশুতােষ গল্পের। বইটিতে পনেরােটি গল্প রয়েছে। প্রত্যেকটি গল্পেই রয়েছে ভিন্নতা। শুধু কাহিনী নয়, আঙ্গিকও ভিন্ন। গল্পের মুন্সিয়ানাও অসাধারণ। গল্পের চটুল ও ছােট ছােট বাক্যে মেদহীন ডায়লগ সত্যিই মুগ্ধ করার মতাে। কাহিনীর অটুট বুনন আর বলার সরল ভাব গল্পের শরীরে জমিয়ে রাখে উষ্ণ আমেজ। ‘ট্যালেন্ট বয়’ গল্পে রাহাত নামে এক দুষ্টু মেধাবী ছেলে মাকে নিয়ে কি যে এক কাণ্ড ঘটাল তা সত্যিই অবাক করে। দেয়। ফুল চোর গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন কি এক ভিন্নতা। মিতালি ফুল চোর ধরল। বাবাকে ডাকল। চোরদের মারার জন্য। বাবা এসে বললেন, আমিও ফুল চোর। বাবা ফুল চোর। মিতালি শুনে তাে অবাক। ফারদিন কেমন করে নয়ন। হলাে। নয়ন নাম যার একেবারেই পছন্দ না সে কেন আবার নয়ন নাম পছন্দ করল। তিনদিনের বন্ধু একটা গরু মাত্র তিনদিনে সাইফের বন্ধু হয়ে যায়। এই গরু বন্ধুকে নিয়ে সাইফের কি সব কাণ্ড। প্রতিটি গল্পই এরকম অসাধারণ কাহিনী নিয়ে লেখা। বিশেষ করে ‘শুভ গেছে মিছিলে এই গল্পটা আমার ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে। একটা বস্তির ছেলে কেন মিছিলে গিয়ে জীবন দিল। বুঝতে পারলাম এদেশের মানুষ দেশকে ও মায়ের ভাষাকে কতটা ভালােবাসে। শামস সাইদের গল্প শুধু শিশুদের মনের খােরাকই জোগায়
। শিশুদের মনের অজান্তেই একটা বার্তা তার হৃদয়ে পৌছে দেয়। আমি তার গল্পের একজন অনুরক্ত পাঠক। তার গল্পের পাণ্ডুলিপি পড়ে আমি আরও অবাক হয়েছি। কারণ এর আগে আমি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তার গল্প পড়েছি। কিন্তু পাণ্ডুলিপি পড়তে গিয়ে আরও বেশি বিস্মিত হয়েছি। গল্পগুলাে আমাকে আরও বেশি মুগ্ধ করেছে। একজন লেখক লেখার ব্যাপারে কতটা পরিশ্রমী এবং যত্নশীল তা প্রকাশ পেয়েছে শামস সাইদের গল্পজুড়ে। ‘ট্যালেন্ট বয়' নামক বইটিতে পনেরােটি গল্প রয়েছে, যা পনেরাে রকম স্বাদ দেবে, দেবে ভিন্ন রকমের আমেজ আর মজায় ভরপুর হবে শিশু-কিশােরদের মন আর মননের পাতা। এমনটাই বিশ্বাস আমার। দেশ, মা, মাটি, মানুষ নিয়েই শামস সাইদের লেখা। আশাকরি গল্পের মতােই। হবে একদিন আমাদের জীবন।। শুভ কামনা রইল বন্ধু শুভ কামনা। পলিয়ার ওয়াহিদ