ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন-এর দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনস্ অ্যান্ড দ্য রিমেকিং অব ওয়ার্ল্ড অর্ডার; বর্তমান এবং পরবর্তী শতাব্দীর বিশ্বরাজনীতির চালিকাশক্তিসমূহের পরিজ্ঞানসম্পন্ন বলিষ্ঠ বিশ্লেষণ: Foreign Affairs- জার্নালের ১৯৯৩ সালের গ্রীষ্ম সংখ্যায় স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন-এর The Clash of Civilizations? “ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ মুদ্রিত হয়। এই বিশিষ্ট জর্নালের সম্পাদকগণের মতে, ১৯৪০-এর দশকের ‘রাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ে বাধাদান সম্পর্কিত’ জর্জ কিনানের বিগত লেখার (X) পরে অদ্যাবধি হ্যান্টিংটন-এর লেখাটির মতো আর কোনো লেখা নিয়ে এত আলোচনার ঝড় ওঠেনি। এই পুস্তকে হান্টিংটন তাঁর উক্ত লেকা এবং লেখাটির সমালোচনা ও এ-সম্পর্কে উত্থাপিত বিভিন্ন আলোচনা ও ইস্যুসমূহের বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ আরও অনেক কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করে তাঁর ধারণাকে সুতীক্ষ্ণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন। উল্লিখিত প্রবন্ধে হ্যান্টিংটন প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন যে, সভ্যতাসমূহের মধ্যে সংঘাত ভবিষ্যৎ বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে বহাল থাকবে কি-না। এই পুস্তকে তিনি সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, সেসঙ্গে তিনি দেখিয়েছেন সভ্যতাসমূহের মধ্যে চলমান সংঘাত বিশ্বশান্তির প্রশ্নে সবচেয়ে বড় হুমকি; তবে সেইসঙ্গে তিনি আরও দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক ধারা ও বিধিবিধান সম্বলিত সভ্যতা কীভাবে যুদ্ধভীত বিশ্বের জন্য বড় রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। বর্তমান গ্রন্থে উল্লিখিত বিষয়সমূহের প্রতি যথাযথ দৃষ্টিপাত করা হয়েছে।
স্যামুয়েল পি. হ্যান্টিংটন
ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ
রুটি-রুজির খাতায় জন্ম তারিখ ১৩ মে ১৯৪২ হলেও রশীদ হায়দারের সঠিক জন্মদিন ১৫ জুলাই ১৯৪১। লেখাপড় পাবনা, ঢাকা ও নিউ ইয়র্কে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকেই সাপ্তাহিক ‘চিত্রালী’-তে পার্টটাইম চাকুরি; পরে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলা একাডেমি থেকে পরিচালক হিসেবে অবসর নেবার পর পাক্ষিক অনন্যা, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রে পরামর্শক, ২০০৯ থেকে ২০১৪ পাঁচ বছর নজরুল ইন্সটিটিউটে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং পুরােপুরি অবসর গ্রহণ। লেখালেখি শুরু ১৯৫৩ সাল থেকে; তবে নিয়মিত সাহিত্য চর্চার সূচনা ১৯৬৩ সালে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ১৯৬৭-তে; গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ, সম্পাদনা ইত্যাদি মিলিয়ে গ্রন্থসংখ্যা ৭০-এর অধিক । সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার', 'হুমায়ূন কাদির পুরস্কার’, রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ সম্মাননা’ ‘পাবনা সমিতি স্বর্ণপদক’ ইত্যাদি লাভ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাঁর অসামান্য অবদান হচ্ছে বাংলা একাডেমি থেকে ১৩ খণ্ডে প্রকাশিত স্মৃতি : ১৯৭১ ও সাহিত্য প্রকাশ থেকে প্রকাশিত ১৯৭১ : ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্পাদনা । ২০১৩ সালে দিলীর ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট বাংলাদেশের প্রথম যে-দুজন লেখকের গল্পগ্রন্থ প্রকাশ করে, রশীদ হায়দার তাদের একজন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক ও কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা প্রদান। বিবাহিত। স্ত্রী আনিসা আখতার। দুই কন্যা হেমা ও ক্ষমা ।। অবসরে রশীদ হায়দার ব্যস্ত আছেন লেখা ও পড়া নিয়ে। ভালােবাসেন আড্ডা দিতে, ভ্রমণ করতে, টিভি-তে ফুটবল ও ক্রিকেট দেখতে এবং তিনবেলা ভাত খেতে ।
Title :
দ্য ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনস অ্যান্ড দ্য রিমেকিং অব ওয়াল্ড অর্ডার