ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ চব্বিশ বছরের ভেরোনিকা আপাতত সবই আছে-রূপ-যৌবন, স্নেহময় পরিবার, কয়েকজন বয়ফ্রেন্ড এবং একটা পূর্ণতাপ্রদায়ী চাকুরী।কিন্তু ওর জীবনে কী যেন ‘একটা কিছু’ নেই।তাই....... এক নভেম্বরের এক শীতল বিকেলে সে সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যার!পরিমিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশী ঘুমের ওষুধ খায় ভেরোনিকা, যেন আর কোনোদিন জাগতে না হয়।কিন্তু সে জেগে ওঠে এক মানসিক হাসপাতালে যেখানে সে জানতে পায় তার আয়ূস্কাল আর মাত্র হাতে গুণে কয়েকদিন।...... পাওলো কোয়েলো’র লেখার গভীরতায় পাঠকমন ভারি হয়ে উঠবে ‘ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই’-এর অন্তর্গত কাহিনীর প্রতিটি আখ্যানে। আমাদের সভ্য সংস্কৃতির ধারক কৃষ্টিসমূহের মর্মাথ সন্ধানে পাওলো কায়েলো পাঠককে ইঙ্গিত করেন ‘উদ্বেগানুভূতি, প্রাণহীন কার্যসারণীর কঠোরতা আর জীবনব্যাপী শৃঙ্খলার’র দিকে। লেখকের জীবন-অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে লেখা ‘ভেরোনিকা ডিসাইড্স টু ডাই’-এ উত্থাপিত সংকট পাঠকককে প্রশ্ন করে, সমাজের স্বাভাবিক ধারায় যারা নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না এ কাহিনী তাদের ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান জানানোর আহবান জানায়।
পাওলো কোয়েলহো
বিশিষ্ট সাহিত্যিক পাওলাে কোয়েলহাের জন্ম ১৯৪৭ সালে, ব্রাজিলে। ছােটবেলা থেকে লেখক হবার স্বপ্ন থাকলেও, পরিবারের চাপে লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারেননি কিশাের বয়সী কোয়েলহাে। তার প্রাথমিক জীবন কেটেছে ভবঘুরে হিসেবে; দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আফ্রিকা, মেক্সিকো আর ইউরােপে। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘হেল আর্কাইভস'। তবে পাঠকমহলে খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি বইটি। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ‘দ্য আলকেমিস্ট’ প্রকাশিত হবার পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম ব্রাজিলিয়ান সাহিত্যকর্ম হিসেবে বেস্টসেলার তকমা অর্জন করে বইটি। এছাড়াও ব্রাইডা’, ‘বাই দ্য রিভার পিদ্ৰা আই স্যাট ডাউন অ্যান্ড ওয়েপ্ট’, ‘দ্য ফিফথ মাউন্টেন প্রভৃতি তার উলেখযােগ্য গ্রন্থ। বর্তমানে সপরিবারে ব্রাজিলে বসবাস করছেন।