যুদ্ধ করে রাজ্য জয় করতে না পারলে কী হবে, কথার মারপ্যাঁচে দারুণ তুখোড় ছিলেন বীরবল। ৯৮৪ হিজরিতে কিরণ রায়ের সাথে বীরবলকে পাঠানো হল ডোঙ্গরপুরের রাজার কাছে। উদ্দেশ্য ডোঙ্গরপুরের রাজকন্যাকে আকবরের শাহী হেরেমে আনা। বীরবল ডোঙ্গরপুরের রাজাকে নানা চাটুবাক্যে জর্জরিত করে এবং মজার মজার চুটকি শুনিয়ে মজিয়ে ফেললেন। রাজাও বীরবলের সাথে নিজের মেয়েকে পাঠিয়ে দেন আকবরের হেরেমে। ৯৯১ হিজরিতে ঠিক এমনই কথায় ভুলিয়ে সম্রাট আকবরের দরবারে হাজির করেন রাজা রামচন্দ্রের পুত্র বীরভদ্রকে। অনেক বলার পরেও বীরভদ্র আকবরের দরবারে আসছিলেন না। বীরবল সেই অসাধ্য সাধন করলেন শুধু মাত্র বাকপটুতার জোরে।