কী ঘটে যখন একজন নারী তার সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে? এবং একজন নারী যার কিছু নেই এবং বুঝতে পারে তার হারানোর কিছু নেই? গ্রেস ব্রুকস্টিন অপূর্ব সুন্দরী, তরুণী এবং বিলিওনেয়ার লেনি ব্রুকস্টিনের স্ত্রী। সে বিপুল বিত্ত বৈভবের মাঝে দিব্যি গা ভাসিয়ে চলছিল। আমেরিকার অর্থনীতিতে ধস নেমে গেলেও সে ব্যাপারে সে সচেতন ছিল না। কিন্তু তার স্বামী যখন এক ঝড়ের রাতে সমুদ্রে ডুবে মারা গেল তখন বাস্তবতা উপলব্ধি করতে বাধ্য হলো গ্রেস। জানা গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ধসের পেছনে গ্রেসের স্বামী লেনিই দায়ী। গ্রেস জানে না অত্যন্ত সুচতুরভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে জীবন বিপন্ন করে তুলল সে। এ বইতে আপনি পাবেন প্যাশন, গ্ল্যামার, টুইস্ট এবং সাসপেন্স যা আপনাকে এক মুহূর্ত স্থির থাকতে দেবে না, ঘটনার আকস্মিকতা বিমূঢ় করে তুলবে, বইটি শেষ না করা পর্যন্ত উঠতেই পারবেন না! আফটার দ্য ডার্কনেস সম্পর্কে ডেইলি টেলিগ্রাফ মন্তব্য করেছে ‘এরচেয়ে অসাধারণ সাসপেন্স আর হতে পারে না।’ স্বয়ং বিচার করুন!
সিডনি শেলডন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক সিডনি শেলডন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য নেকেড ফেস’কে নিউইয়র্ক টাইমস অভিহিত করেছিল বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস' বলে। শেলডন যে ১৮টি থ্রিলার রচনা করেছেন, প্রতিটি পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলারের মর্যাদা। তার সবচেয়ে হিট রােমাঞ্চোপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট, ব্লাড লাইন, রেজ অভ এঞ্জেলস, ইফ টুমরাে কামস, দ্য ডুমসডে কন্সপিরেসি, মাস্টার অব দ্য গেম, দ্য বেস্ট লেইড প্ল্যানস, মেমােরিজ অভ মিডনাইট ইত্যাদি। এই বিখ্যাত লেখক ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন।
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।