আঙ্গারীঘাট (হার্ডকভার) - কামরুন্নাহার দিপা | বইবাজার.কম

আঙ্গারীঘাট (হার্ডকভার)

    5 Ratings     1 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ২১৬ (২০% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২৭০

প্রকাশনী : নহলী





WISHLIST


Overall Ratings (1)

Md. Al Faruk
21/03/2019

#বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯ বই আলোচনা: ০১ বইয়ের নাম: আঙ্গারীঘাট লেখক: কামরুন্নাহার দিপা। ধরণ: সামাজিক উপন্যাস। ব্যক্তিগত রেটিং: ৪.৯/০৫ প্রকাশনা: নহলী। প্রচ্ছদ: সজল আহমেদ। প্রথম প্রকাশ: ডিসেম্বর ২০১৮ প্রাপ্তিস্থান: নহলী               মিরপুর ডিওএইচএস, রোড নং: ১১, অ্যাভিনিউ: ৬, বাড়ি নং: ৮০৮ অনলাইন প্রাপ্তিস্থান: www.facebook.com/Noholibooks  পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮ মুদ্রিত মূল্য: ২৭০/- ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত নহলীর সকল বইয়ে ৪০% ছাড় পাওয়া যাবে। ISBN: 987 984 93687 2 4 #কাহিনী সংক্ষেপ:  নদী এবং নারী বাঙালীর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই দুইয়ের মিশেলে সৃষ্ট আঙ্গারীঘাট। একটি নদী কেন্দ্রিক দুটো নারীর গল্প; আছে হারানোর গল্প, বেদনার গল্প, না পাওয়ার হতাশা তবুও বাশেরা কিংবা মনিরা কেউই ছেউটি কিংবা ছেউটে ছেড়ে যেতে চায় না! জীবন চলে যায় তার মতো করে আর আঙ্গারীঘাটের প্রতি দুই পাড়ের মানুষের ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরতর হয়.... #পাঠ প্রতিক্রিয়া:  ঐতিহাসিক কিছু আমার বিন্দুমাত্র ভালো লাগে না; কেননা, ইতিহাস প্রশ্নবিদ্ধ এবং নগ্ন, যতই ঘাটাতে চাই ততই নিজেকে নির্লজ্জ মনে হয়! কামরুন্নাহার দিপা অবশ্য বইয়ের শুরুতেই আশ্বস্ত করেছেন, আঙ্গারীঘাট কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এই অভয় কাজে লাগিয়ে আমি কেবল গল্প মনে করেই আঙ্গারীঘাট পড়েছি। বইটি পড়ে অন্তত এটুকু বুঝেছি যে, আদতে আঙ্গারীঘাট একদিন ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে স্থান পাবে। সারা দেশে না হোক অন্ততপক্ষে ওই এলাকার মানুষের কাছে হলেও!  যাই-হোক, আমার বাপু টু-থ্রি থেকে একাডেমিক বইয়ের বাইরে বই পড়ার অভ্যাস কোনো কালেই ছিল না। যা খানিক ছিল তা হলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পত্রিকা পড়া, তাও নিয়মিত না। তবে এখন আমি পড়ুয়াদের একজন! আঙ্গারীঘাট এমন একটা উপন্যাস যা এক নিমিষে পড়ে শেষ করা যায় এবং খানিক আফসোস করা যায় 'ইশ! আরও একটু হলে...!' আঙ্গারীঘাটের মাধ্যমে লেখক ছেউটি নদীর দুই পাড়ের মানুষের জীবন-ছবি এঁকেছেন।   বইটি পড়ার সময় আমি বারংবার বাশেরা চরিত্রের কাছে হার মেনেছি। কী সাহস! অপার উদ্যম! মুগ্ধ করার মতো চরিত্র। যে আঙ্গারীঘাট সারা জীবন শুধু তার থেকে কিছু না কিছু নিয়ে গিয়েছে তার প্রতি কোনো অনুযোগ নেই! অথচ কত দুর্দশাপন্ন তার জীবন! একটি নদীকে কেন্দ্র করে লেখক কেবল তার প্রতিভার ছাপই রেখে যাননি... এই বইতে সমাজের এমন কিছু দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে তা অনুভব করতে পারলে নিজ মন আনমনেই শিহরিত হয়। লেখক এই জায়গাতে স্বার্থক।  #সেরা উক্তি:  * সময় মানুষকে তার নিজের মতো করে চলতে শেখায় কিংবা বাধ্য করে। * গরীব মানুষের সব দিকে বিপদ। * বাচ্চারা কত সহজে সবকিছু বিশ্বাস করে! * জ্বীন-ভূত বলো আর জন্তু-জানোয়ার বলো মানুষের চায়ি ভয়ের তো আর কাউরে মনে হয় না। * অশিক্ষিত হলে কী হবে? মানুষ জীবন দিয়ে যা শিখে তার দামও কম নয়। * ওরা হলো চান্দের দেশের মানুষ, চান্দের আলো গায়ে মাখে আর আমরা মাটির মানুষ মাটির মধ্যে গড়াগড়ি খাই। তা হোক আমি মাটিতেই সুখী। * অসহায় মেয়েদের তুলনায় সহজলভ্য আর কী আছে দুনিয়ায়! #প্রকাশনায় নহলী:  প্রকাশনা ব্যবসায়, এক মিনিট! আমি এটাকে ব্যবসা বলব না, বলব প্রকাশনা শিল্প। প্রকাশনা শিল্পে নহলী নতুন। আমার একক বই প্রকাশিত না হলেও প্রকাশনা নিয়ে আমার অল্প-বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে বৈকি। আর "আঙ্গারীঘাট" নহলী থেকে প্রকাশিত তৃতীয় বই! কী সুন্দর বাইন্ডিং, ৮০ গ্রাম পারটেক্স কাগজ, প্রচ্ছদে ১৫০ গ্রাম জ্যাকেট এবং এমবোস করা নাম! অন্তত বিচার করার জন্য হলেও "আঙ্গারীঘাট" আপনার পড়া দরকার বলে আমি মনে করি। #প্রসঙ্গ প্রচ্ছদ: প্রথমেই বলে রাখি প্রচ্ছদটি বেশ দৃষ্টিনন্দন এবং আশা জাগানিয়া। তবে আমার মতে সূক্ষ্ম একটি অসামঞ্জস্য আছে। সেটা হলো, বইটি মূলত আঙ্গারীঘাট এবং প্রধান দুটো নারী কেন্দ্রিক; তাই প্রচ্ছদে আরও একজন নারী অবয়বের অতৃপ্তি ছিল। সব মিলিয়ে সজল আহমেদ ভাই সত্যিই দারুণ একটি প্রচ্ছদ উপহার দিয়েছেন যা প্রথমেই একজন পাঠকের মনে বইয়ের ভেতর কি আছে তার জন্য প্রশ্ন তুলবে। ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। #চরিত্রায়ন: একটি উপন্যাস, কত চরিত্র! যার মধ্যে একটিও ফেলে দেয়ার মতো নয়! কাহিনীর প্রয়োজনে চরিত্রগুলো এসে যেন চিরস্থায়ী আসন গেঁড়ে বসেছে! বাশেরা, মনিরা, সাজিদ আহা! অপার ভালোবাসার প্রতিবিম্ব... যে চরিত্রটি মনে আজীবন গেঁথে থাকবে সেটি হলো শাপলা। আর শালুক?  চরিত্রগুলো আমাদের সমাজের কিছু নিগূঢ় সত্য উপস্থাপন করেছে; বিশেষ করে দুই শ্রেণির মানুষের ভালোবাসা...  সর্বোপরি সবার মিশেলে আঙ্গারীঘাট অনন্য হয়ে উঠেছে। #নামকরণের সংশ্লিষ্টতা:  আঙ্গারীঘাট, শব্দটির ভেতরই অজানা এক বেদনা, অপার ভালোবাসা লুকিয়ে আছে। কী সুনিপুণভাবেই না মনে দাগ কেটে যায়! নদী পাড়ের জনজীবন নিয়ে লেখা এই উপন্যাসের নামটি অন্য মাত্রায় নিয়ে এসেছে। স্থানীয় নামেই যখন বইটি ওখানকার মানুষের নজরে পড়বে, তখন অজান্তেই মনের ভেতর হাহাকার করে উঠবে। আমাদের আঙ্গারীঘাট নয়তো! লেখক অন্য শিরোনামের দ্বারস্থ না হয়ে ছেউটি নদীর স্থানীয় নামটি বেছে নেয়ার সাহসটুকু যথার্থই ছিল গল্পের প্লট অনুযায়ী। অন্তত এই নামের জন্যও উপন্যাসটি অনেকদিন বেঁচে থাকবে।  #ভালো লাগার দিক:  ১. মনিরাকে সেই ছোট্ট বেলায় আঙ্গারীঘাট যে দুঃখ দিয়েছে তা ভুলে থাকা অসম্ভব। কিন্তু সেই মনিরা কানাডার পাঠ চুকিয়ে আঙ্গারীঘাট-র পাশে জীবনের বাকিটা জীবন কাটাতে চেয়েছে এবং সাজিদ একজন আদর্শ স্বামী যে বিদেশের বিলাশ বহুল জীবন বাদ দিয়ে স্ত্রীর কথা রাজী হয়েছেন। ২. আঙ্গারীঘাট থেকে জন্মলগ্ন এত এত দুঃখ, অপবাদ পাওয়ার পরও কোনো অভিযোগ না করে নদীটিকে বাশেরার ভালোবেসে যাওয়া।  আপনার পাঠ শুভ হোক। written by: Arafat Tonmoy(বুনোহাঁস)


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2025 BoiBazar.com