বিশ্বাসের যৌক্তিকতা (পেপারব্যাক)
সংক্ষিপ্ত কলেবরের এই বইটিতে বেশকিছু টপিক চলে এসেছে। আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে পড়াশুনা করে এমন যেকারো কাছে এই টপিকগুলো অবশ্যই 'হট কেক' এর মতো। পেলেই গোগ্রাসে গিলে খেয়ে ফেলার মতোন। যেমন- বইটিতে ম্যাট্রিক্স বা পরাবাস্তব জগতের ব্যাপারে বলা আছে। ফিতরাহ তথা সহজাত ধর্মবিশ্বাসের ব্যাপারে বলা আছে। আছে ফাংশনাল রিজনিং, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব, কনসাসনেস বা 'চেতনা' রহস্যের কথা। আরো আছে বিবর্তনবাদ, DNA, সহ কোরআন থেকে স্রষ্টার অস্তিত্বের স্বপক্ষে জোরালো প্রমাণাদি। কিন্তু, আমার মনে হয়েছে, এই বইতে যেসব টপিক আছে, সেসবের যদি আরো বিস্তারিত বর্ণনা থাকতো, যদি আরো সহজ উদাহরণ টানা যেতো, যদি তথ্যগুলোর ফাঁকে ফাঁকে যুক্তি আনা যেতো, তাহলে বইটা আরো পূর্ণতা লাভ করতো। বইটা আমার জন্য পারফেক্ট। আমি ফাংশনাল রিজনিং, ইউনিভার্স ফ্রম নাথিং, কনসাসনেস, ম্যাট্রিক্স ইত্যাদি হালকা পড়েই বুঝতে পারি। কারণ, আমার এখন পড়াশুনাই এসব নিয়ে। কিন্তু, সাধারণ লেভেলের কেউ, যার এসব বিষয়ে পূর্ব পাঠ নেই, তার জন্য ব্যাপারগুলো ক্যাচ করা একটু কষ্টসাধ্য হবে বৈকি! তবে, বইটিতে তথ্যের রয়েছে ব্যাপক সমাহার। লেখক যেভাবে পিয়ার রিভিউ জার্নালের রেফারেন্স টেনেছেন, যেকোন সংশয়বাদী পড়তে নিলে কপাল কুঁচকাবে নিশ্চিত। রাফান আহমেদ ভাইয়ের জন্য শুভকামনা। আমি যুক্তি এবং সহজ উদাহরণের কথা এজন্যই বললাম, কারণ টার্গেট অডিয়েন্সদের ম্যাক্সিমাম যদি মূল বিষয়টা ধরতেই না পারে, তাহলে মুশকিল। যেমন- জীবনে বিজ্ঞানের 'ব' ও পড়েননি এমন অনেক লোক আমাকে বলেছে যে,তারা প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়ে রিলেটিভিটি বা 'টাইম ট্রাভেল' নিয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গেছে। অনেকে জানিয়েছে, DNA'র অধ্যায়টা তাদের এতো ভালো লেগেছে যে, DNA এতো চমৎকার জিনিস, এর আগে তারা তা জানতোই না। অনেকে বলেছে, সাজিদ পড়ে তারা থার্মোডাইনামিক্সের সূত্রগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছে। লক্ষ্যণীয় ব্যাপার, আমি বলছি না যে আমি দূর্দান্ত লিখি বা লিখেছি। আমি বলতে চাচ্ছি, আমার টার্গেট অডিয়েন্স যেভাবে বুঝবে, সেভাবে লিখলে জিনিসটা বেশিই ফলপ্রসূ হবে। রাফান আহমেদ ভাই যে তথ্যগুলো এনেছেন, আমিও সেই তথ্যগুলো দিয়েই সাজিয়েছি। পার্থক্য হলো- আমি তথ্যের চেয়ে যুক্তির দিকে ঝুঁকেছি বেশি যাতে আমার পাঠক ইজিলি ক্যাচ করতে পারে, আর রাফান ভাই তথ্যের দিকে ঝুঁকেছেন বেশি। সবমিলিয়ে, চমৎকার একটা বই 'বিশ্বাসের যৌক্তিকতা...' রাফান আহমেদ ভাই ভবিষ্যতেও আমাদের এরকম আরো চমৎকার চমৎকার বই উপহার দিবেন, এই প্রত্যাশায়।
#তুলনামূলক_ধর্মতত্ত্ব “বিশ্বাসের যৌক্তিকতা” একটি আশ্চর্যজনক বই! ছোট ছোট অধ্যায়, আর তথ্য ও রেফারেন্সের সমাহার রয়েছে এই বইটিতে।।
বুক রিভিউ- বিশ্বাসের যৌক্তিকতা। লেখক- রাফান আহমেদ। আলহামদুলিল্লাহ্। বইটি এই নিয়ে দুইবার পড়া হলো। প্রথমবার পড়েছিলাম ছাপানোর আগে। রাফান আহমেদ ভাই পাঠিয়েছিলেন একটু সম্পাদনা করে দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয়বার পড়লাম বইটা 'সমর্পন প্রকাশন' এর পক্ষ থেকে হাদিয়া পাবার পরে। সংক্ষিপ্ত কলেবরের এই বইটিতে বেশকিছু টপিক চলে এসেছে। আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে পড়াশুনা করে এমন যেকারো কাছে এই টপিকগুলো অবশ্যই 'হট কেক' এর মতো। পেলেই গোগ্রাসে গিলে খেয়ে ফেলার মতোন। যেমন- বইটিতে ম্যাট্রিক্স বা পরাবাস্তব জগতের ব্যাপারে বলা আছে। ফিতরাহ তথা সহজাত ধর্মবিশ্বাসের ব্যাপারে বলা আছে। আছে ফাংশনাল রিজনিং, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব, কনসাসনেস বা 'চেতনা' রহস্যের কথা। আরো আছে বিবর্তনবাদ, DNA, সহ কোরআন থেকে স্রষ্টার অস্তিত্বের স্বপক্ষে জোরালো প্রমাণাদি। কিন্তু, আমার মনে হয়েছে, এই বইতে যেসব টপিক আছে, সেসবের যদি আরো বিস্তারিত বর্ণনা থাকতো, যদি আরো সহজ উদাহরণ টানা যেতো, যদি তথ্যগুলোর ফাঁকে ফাঁকে যুক্তি আনা যেতো, তাহলে বইটা আরো পূর্ণতা লাভ করতো। বইটা আমার জন্য পারফেক্ট। আমি ফাংশনাল রিজনিং, ইউনিভার্স ফ্রম নাথিং, কনসাসনেস, ম্যাট্রিক্স ইত্যাদি হালকা পড়েই বুঝতে পারি। কারণ, আমার এখন পড়াশুনাই এসব নিয়ে। কিন্তু, সাধারণ লেভেলের কেউ, যার এসব বিষয়ে পূর্ব পাঠ নেই, তার জন্য ব্যাপারগুলো ক্যাচ করা একটু কষ্টসাধ্য হবে বৈকি! তবে, বইটিতে তথ্যের রয়েছে ব্যাপক সমাহার। লেখক যেভাবে পিয়ার রিভিউ জার্নালের রেফারেন্স টেনেছেন, যেকোন সংশয়বাদী পড়তে নিলে কপাল কুঁচকাবে নিশ্চিত। রাফান আহমেদ ভাইয়ের জন্য শুভকামনা। আমি যুক্তি এবং সহজ উদাহরণের কথা এজন্যই বললাম, কারণ টার্গেট অডিয়েন্সদের ম্যাক্সিমাম যদি মূল বিষয়টা ধরতেই না পারে, তাহলে মুশকিল। যেমন- জীবনে বিজ্ঞানের 'ব' ও পড়েননি এমন অনেক লোক আমাকে বলেছে যে,তারা প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ পড়ে রিলেটিভিটি বা 'টাইম ট্রাভেল' নিয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গেছে। অনেকে জানিয়েছে, DNA'র অধ্যায়টা তাদের এতো ভালো লেগেছে যে, DNA এতো চমৎকার জিনিস, এর আগে তারা তা জানতোই না। অনেকে বলেছে, সাজিদ পড়ে তারা থার্মোডাইনামিক্সের সূত্রগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছে। লক্ষ্যণীয় ব্যাপার, আমি বলছি না যে আমি দূর্দান্ত লিখি বা লিখেছি। আমি বলতে চাচ্ছি, আমার টার্গেট অডিয়েন্স যেভাবে বুঝবে, সেভাবে লিখলে জিনিসটা বেশিই ফলপ্রসূ হবে। রাফান আহমেদ ভাই যে তথ্যগুলো এনেছেন, আমিও সেই তথ্যগুলো দিয়েই সাজিয়েছি। পার্থক্য হলো- আমি তথ্যের চেয়ে যুক্তির দিকে ঝুঁকেছি বেশি যাতে আমার পাঠক ইজিলি ক্যাচ করতে পারে, আর রাফান ভাই তথ্যের দিকে ঝুঁকেছেন বেশি।