বোকা বাবা ও কিডন্যাপার
এ গল্পে চোরের ভূমিকা বড়ই পৈশাচিক।মূল চরিত্রে জয়িতা ও তার বাবা। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে আছে মা, ভুলু, বদ( ওরফে বদরুল মিয়া), হর দাদু, গাবলুশ(😹), কিপ্টা দাদু, মোশা করিম ও খান বাহাদুর(৩) পারিবারিক সমস্যা তো প্রত্যেক বাসাতেই হয়, কিন্ত ভেবে দেখুন একটি ছোট শিশুর উপর তা কীরুপ প্রভাব ফেলে। প্রতিটা মেয়ের কাছে তার বাবা এক অজানা অনুভূতি, নির্ভরতা, আশা, বন্ধু আর ও কত কী! বাবার সাথে শৈশবের স্মৃতি কতই না সুমধুর!! বইয়ের প্রথম কিছু পাতায় আপনি পেয়ে যেতে পারেন আপনার শৈশবের এক নৈসর্গিক আনন্দানুভূতি। কিন্ত বাবা যদি ভুলোমনের হয়? ধরা যাক মায়ের Anniversary কিংবা বাসার টুকটাক কাজ? এর জন্য কী বাবাকে ফেলে চলে যেতে পারা যায়? জয়িতা তা মানতে পারেনা, কিন্ত তার মতামত গ্রহন করাকে কেউ প্রয়োজনীয় মনে করে না। তার মা, ফরহাদ সাহেবের( বাবার) এক কানাডা অধিবাসী বন্ধুর সাথে চলে যেতে চান। ফরহাদ সাহেব একজন কবি, ভালো মেধাবী হলেও প্রকৃতি ও দুরন্তপনা তাকে হাতছানি দিয়ে ব্যস্ত রেখেছে, যার কারনে তিনি কাব্যজগতকে বেছে নেন। কিন্ত তার বেকারত্ব তাকে বিচ্ছেদ এর সন্নিকটস্থ করছে। মজার বিষয় হল, এসবের মাঝে প্রতিবেশী তাদের মিল করিয়ে দেন এক অদ্ভুত উপায়ে, যেখানে জয়িতা কিডন্যাপ করে ৪ জন লোক কে,। মুক্তিপণ চাওয়া হয় ১০ টাকা! এরকম অদ্ভুত ও স্মৃতিচারণমুলক একটি বই হল এটি। যারা আগ্রহী তারা কিনে পরে ফেলতে পারেন। #বইবাজার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_মার্চ_২০১৯