বিয়ের পর কি ভাগ্য পরিবর্তন হয়! স্বামীর ভাগ্য কি স্ত্রীর আর স্ত্রীর ভাগ্য স্বামীর হয়! আজিজের বেলায় এমনটাই ঘটেছে। বিয়ের আগে এতো করে চাকরি খোঁজাখুঁজির পরও চাকরি পায় না আজিজ। অথচ বিয়ের পর চাকরি এসে তাকে খুঁজে নিয়ে যায়। এই চাকরি থেকেই যেন শুরু হয় আজীজের জীবনের উত্থান-পতন।
আজিজের মা মারা যায়। মা মারা যাওয়ার পরই পদ্মার ভাঙনে তার ভিটেমাটি সব নদীতে চলে যায়। সে সবকিছু হারিয়ে রেবেকাকে নিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। তার একটি কন্যাসন্তান আসে। রোকেয়া। অদ্ভুত রকমের সুন্দরী। যে কেউ তাকালেই অবাক হবে। মুগ্ধ হয়ে শুধু তাকিয়েই থাকতে চাইবে। জনমের পর জনম কেটে যাবে, তবুও যেন তাকে দেখা শেষ হবে না।
আগের বাসাটা পরিবর্তন করে আজিজ আবার ছোট্ট একটি বাসা নেয়। একরুমের একটি বাসা। একরুমের একটা বাসায় তিনজন মানুষের থাকতে একটু কষ্ট হলেও কিছু করার ছিলো না। এরই মাঝে চলে যায় আজিজের চাকরি। চারমাসের বাসা ভাড়া বাকী। কি করে দেবে! তার হাতে যে একটা টাকাও নেই। বাড়িওয়ালা মূহুর্তে মূহুর্তে এসে তার সাথে রাগ দেখায় তার ভাড়ার জন্য।
বাড়িওয়ালা আবার তার ছেলের জন্য আজিজের মেয়ে রোকেয়াকে পছন্দ করে। একদিন এসে বলে, রোকেয়াকে নাকি তার ছেলের সাথে বিয়ে দিলে আজিজকে আর বাসা ভাড়া দিতে হবে না। বাসা ভাড়া না দেওয়ার লোভে পড়ে আজিজও বিয়ে দিয়ে দেয় রোকেয়াকে বাড়িওয়ালার ছেলের সাথে। এই বিয়ে থেকেই শুরু হয় রোকেয়ার এক নতুন জীবন। যে জীবন সে কখনো কল্পনাও করে নি এমন এক অদ্ভুত জীবন।