মেয়েদের বিবাহের বয়স সম্বন্ধে আধুনিক যুগে অবশ্য কোন বাঁধাধরা নিয়ম নাই, তথাপি একমাত্র কন্যার বিবাহটা একটু শীঘ্রই দিবার ইচ্ছা মিঃ শঙ্কর চ্যাটার্জির। সম্বন্ধও পাকা এবং দিনও স্থির হইয়া গিয়েছে। বাকি শুধু বিবাহটার। | তপতী এবার বি-এ পরীক্ষা দিবে, তাহারই জন্য ব্যস্ত সে। বিবাহের নামে বাঙালী মেয়েরা যেরূপ উচ্ছসিত হইয়া উঠে তপসীর তাহা কিছুই হয় নাই। কেন হয় নাই, জিজ্ঞাসা করিলে সে বলিবে বাপ-মা’র হাতের দেওয়া অনিবার্য শাস্তি যখন লইতেই হইবে, তখন ভাবিয়া লাভ কি! বিয়েটা হইয়া গেলেই আনন্দ-বানিরানন্দ যাহােক একটা করা যাইবে। এখন পরীক্ষার পড়াটা করা যাক
ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
(৭ মার্চ, ১৯০৪ - ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৫) ছিলেন একজন খ্যাতনামা বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক। এটি তার ছদ্মনাম। তার আসল নাম তারাপদ। তার বিখ্যাত উপন্যাস চিতা বহ্নিমান ও শাপমোচন। এই দুটি উপন্যাস তার পাঠক সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ১৯০৪ সালের ৭ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খয়রাশোলের নাকড়াকোন্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার নামে ২০০৭ সালে এই গ্রামের একটি পাড়ার নামকরণ করা হয় 'ফাল্গুনী পল্লি'। তিনি ছিলেন বঙ্গলক্ষী মাসিকপত্রের সম্পাদক। সেখান থেকেই তার সাহিত্য জীবন শুরু হয়।[১] তার রচিত অন্যতম এবং বহুপঠিত দুটি উপন্যাস চিতা বহ্নিমান ও শাপমোচন।[৩] ১৯৫৫ সালে শাপমোচন উপন্যাস অবলম্বনে কোলকাতার পরিচালক সুধীর মুখার্জি উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন জুটিকে নিয়ে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন