"দখিনের দ্বীপ" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
নিরক্ষর দিনমজুর জলিল গাজীর মেয়ে আসমারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চেয়ারম্যানের ছেলে তার কাম লিপ্সা চরিতার্থ করে। লজ্জা থেকে বাঁচতে আসমা বেছে নেয় আত্মহননের পথ। তার ভাই জহির তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন বাবার পরামর্শে প্রতিশোধ নিতে চেয়ারম্যানের কন্যার সাথে প্রেমের অভিনয় করতে গিয়ে নিজেই প্রেমে পড়ে যায়।
একদিন গভীর রাতে জলিল গাজীর পুরো পরিবার চেয়ারম্যানের অষ্টাদশী কন্যা ফুলবানুকে নিয়ে নৌকাযোগে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাগর মোহনায় এক জনবিরল ছোট্ট দ্বীপে। চেয়ারম্যানের রোষানল থেকে বাঁচতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না তাদের।
ক’জন মানুষের প্রাণান্তকর চেষ্টায় ঐ দ্বীপ একসময় ভূস্বর্গে পরিণত হয়। জলিল গাজীর দিকনির্দেশনায় এবং ফুলবানুর বুদ্ধিমত্তায় তার স্বামী এবং পুরো পরিবার আবার ফিরে আসে নিজেদের বসত ভিটায়।
এ কাহিনি একাধারে প্রেম ও প্রতিশোধের, জোতদারের বিরুদ্ধে দিনমজুরের প্রতিবাদের, একজন নিরক্ষর স্বশিক্ষিত সৎ ও মানবিক জলিল গাজীর, যে জোনাকির আলোর মতো নরম, আবার প্রয়োজনে তীক্ষ্ণ ধার কৃপাণ। কাহিনির মূল উপজীব্য ভালোবাসা ও মানবিকতার, যা ক্ষণে ক্ষণে আপ্লূত করবে পাঠক হৃদয়।