আসলেই অতীত দিনের স্মৃতি কেউ মনে রাখেন। কেউ ভুলে থাকেন। তবে স্মৃতির পাতায় যে কখনাে ময়লা জমে না। অনেক অস্পষ্ট নাম, কথা, গান মানবের মনােভূমিকে কখনাে সখনাে অতীত স্মৃতিতে নিয়ে যায়। শত চেষ্টা করেও মানুষ তার ফেলে আসা অতীত ভুলে থাকতে পারে না। সেই সােনার কৈশােরে কবিতা দিয়ে লেখালেখির জগতে প্রবেশ। সাথে সাথে সাংবাদিকতাও করেছি। তিন দশক পার হয়ে গেছে লেখালেখি ও সাংবাদিকতার। বাড়ির পাশে বারাে আউলিয়ার মাজার, হাফেজ শেখদ্বার হােসাইনীর মাজার এবং চৌধুরীর মঠ দেখেই ইতিহাসের প্রতি দুর্বলতা। ইতিহাস পাঠে দেখলাম মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়নি। কেন লিপিবদ্ধ হয়নি তা আমাদের অজানা। লিপিবদ্ধ হয়নি সুজানগর ভােজবর্মদেবের শিলালেখ, মুন্সীগঞ্জের পঞ্চতীর্থ স্নানঘাট, মুন্সীগঞ্জের মুসলমানদের ইতিহাস, দেউলবাড়ি এবং বিক্রমপুর বিহার নিয়ে। খুবই সর্তকভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্যকে। লিপিবদ্ধ হয়নি অনেক প্রাচীন মন্দিরেরও। যখনই সুযােগ হয়েছে জন্মভূমি, মাতৃভূমি এবং পিতৃভূমি মুন্সীগঞ্জকে পত্রপত্রিকায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এসব দায়বদ্ধতা এবং মুন্সীগঞ্জের প্রতি নির্ভেজাল ভালােবাসা থেকেই দুর্গ নগরী মুন্সীগঞ্জ’ লেখায় হাত দেওয়া। কিছু কিছু লেখা সাপ্তাহিক রােববার, চ্যানেল আই'র সাপ্তাহিক ও সাপ্তাহিক সময়ের বিবর্তন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক সমকাল ও দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে নিবন্ধ আকারে। মুন্সীগঞ্জ নিউজ ডটকম অনলাইন পত্রিকাটিতেও নিয়মিত প্রকাশিত হতাে লেখাগুলাে।
দুর্গ নগরী মুন্সীগঞ্জের আগে অন্য কোনাে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়নি এমন অনেক তথ্যও লেখা স্থান পেয়েছে এ গ্রন্থে। সম্পূর্ণ নতুন প্রামাণিক ইতিহাস নিয়ে। এটি আমার দ্বিতীয় ইতিহাসগ্রন্থ।