বাংলা পাক-ভারত মিলে ভারতীয় উপমহাদেশ যা একদিকে যেমন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ, তেমনি অন্যদিকে রয়েছে নানান ধর্ম-বর্ণ-জাত। স্বপ্ন কাহিনী, লােক কাহিনী, ধর্মগুরুর অলৌকিক জীবনগাথার সাথে ভূত-প্রেত, সূর-অসুর দেবতা-দেবীর কাহিনীতে ধর্ম পড়েছে ভ্রান্তি আর অন্ধকারে। এসব জনপদে প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে অসংখ্য দেব-দেবীর পূজা। মহান আল্লাহ্র পবিত্র কালিমা (বাণী) দিয়ে এসব জনপদে তাওহীদের যাত্রা শুরু হয়েছে সাহাবীগণের যুগে। আজও তাওহীদের যাত্রা অব্যাহত। কিন্তু মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হল অসহায় আত্মসমর্পণ এবং আনুগত্য। আর, সে যখন এক আল্লাহকে ভুলে যায়, তখন অসংখ্য দেব-দেবী বানিয়ে পূজা করে, আনুগত্য আর আত্মসমর্পণ করে। অবশ্যই, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু (সূরা ইউসুফ, ১২ : ৫)। সে তার দলবলকে আহ্বান করে এবং তারা পথভ্রষ্ট হয়ে যায় (সূরা ফাতির, ৩৫ : ৬)। আল্লাহ্ তা'আলা মানুষকে শয়তানের পূজারী না হতে আদেশ করেন (সূরা ইয়াসীন, ৩৬ : ৬০)। কিন্তু শয়তান ও তার দলবল অত্যন্ত চুপি চুপি মানুষকে ধ্বংস ও ভ্রান্তির পথে টেনে নিয়ে যায় (সূরা আ'রাফ, ৭: ২০২)। মানুষ হয়ে যায় পথভ্রষ্ট, মুশরিক। এ কারণেই নবী-রসূলগণের মৌলিক দাওয়াত ছিল তাওহীদের প্রতি, শিরকের বিরুদ্ধে, সত্যের পথে। আল-কুরআন এ ধরায় সেই সত্যেরই সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ পথ নির্দেশনা। মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার একনিষ্ঠ প্রচারক। শয়তানদের কুমন্ত্রণা, মানুষের অজ্ঞতা আর নানামুখী শত্রুর চক্রান্তে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের এই দেশ শিক, বিদ'আত আর কুফুরীর আস্তাবলে পরিণত হয়েছে। এখানে অবাধে চলছে পীর পূজা, মাজার পূজা, কবর পূজা, খাজা বাবা, দয়াল বাবা, মাইজভান্ডারী বাবা, চট ও জটধারী ফকির, উলঙ্গ ফকির, গউস কতুবদের পূজা আর তাগুতের পালন। কুফুরী মতবাদ, কুরআন বিরােধী আইন আর শিকে আচ্ছন্ন হয়ে আছে গােটা বাংলাদেশ। এগুলাের পাশাপাশি রয়েছে বিদ'আত নামক এক বিষবৃক্ষ; যার গভীর শিকড় উপড়ে ফেলে বেরিয়ে আসতে পারছেনা স্বয়ং আলিম সমাজও। এজন্য আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে একটি তাওহীদী মহাবিপ্লব। এ বিপ্লবের প্রাণশক্তি হবে পবিত্র কুরআন আর সুন্নাহর অনুসরণ। তাহলেই পাওয়া যাবে তাওহীদ