সবারই একটা পড়ে যাওয়ার গল্প থাকে। কেউ হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটা শিখতে গিয়ে পড়ে যায়! কেউ ছত্রিশতলার ছাঁদে দাঁড়িয়ে ভাবে, চাইলেই ধরা যায় সপ্তর্ষি মন্ডল! যত উঁচুতেই ওঠা যায় না কেন, পড়ে যাওয়ার ভয় তাই অন্তহীন পিছু তাড়া করে ফেরে। সবারই একটা উঠে দাঁড়াবার গল্প থাকে। কেউ সারাজীবন শুধু একটা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে জানে! কেউ চোরাবালি ভেদ করে দাঁড়িয়ে যায় হিমালয়ের মত! যত নিচেই থাকুক না কেন, উঠে দাঁড়াবার স্বপ্নটা তাই বাঁচিয়ে রাখে মানুষকে! এই পড়ে যাওয়া আর উঠে দাঁড়াবার বাইরে কোন গল্প নেই বাইরে থাকে কেবল রহস্যময়ী আঁধার। গবলিন সেই গা শিউরে ওঠা আঁধারের গল্প। যেখানে আছে লালসা, যৌনতা, অনৈতিকতা ও কিছু ভুল সিদ্ধান্ত! হয়তো মানুষ মাঝেমধ্যে ভুল সিদ্ধান্ত নেয় বলেই জীবন এত বৈচিত্র্যময়!
শফিকুর রহমান শান্তনু
আমি শফিকুর রহমান শান্তনু। মা সাহিদা রহমান, বাবা মােঃ শামসুর রহমান খান। কাস এইটে পড়ার সময় অংক পরীক্ষায় একবার ১০০ তে ১২ পেয়েছিলাম। সেই দুঃখে সারারাত জেগে একটা গল্প লিখে ফেললাম। এক কিশাের বাড়ি থেকে পালিয়ে রেলস্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই হল গল্পের বিষয়। সেই থেকে শুরু। বাবা মা থেকে স্কুল শিক্ষক ও বন্ধুদের পিঠ চাপড়ে দেয়া লাই আমার এইম ইন লাইফ’ তৈরিতে সাহায্য করেছে। প্রেমের প্রস্তাব না পেলেও লেখার প্রস্তাব পেয়েছি কিছু তাই এনটিভিতে প্রচারিত ভালােবাসার উল্টো পিঠ, টার্মিনাল, সম্রাট, বাংলাভিশনের বাতিঘর, গপ্পো, পাল্টা হাওয়া, আরটিভির ধানশালিকের গাঁও, এটিএনবাংলার ছলে বলে কৌশলে, সােনার শেকল, বৈশাখীটিভির তখন হেমন্ত, একুশেটিভির থ্রি কমরেডস সহ টেলিভিশনের জন্যে প্রায় দুশাে নাটক, পত্রিকায় দুচারটা গল্প ও ব্যান্ডসঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু, এসআই টুটুলসহ অনেকের গান লিখে আমি যখন লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নিলাম, আমার বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই বিষয়টাকে ভালাে চোখে নিল না! সেদিনই আমি প্রথম বুঝলাম, আজ কারাে চোখে যা ভালাে, কাল তারই চোখে তা খারাপ হতে পারে! শুনেছি, লেখক হলে বড় বড় কথা বলতে হয়। এখানেও আমি ধরা! বড় কথা বলতে গেলে সব কেমন যেন জট পাকিয়ে যায়। তখন মনে হয়, এই রাস্তা আমার নয়। আমার রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে।