১৯২৫ সাল । ইজমিরে এক পাথরের ঘরে কমিউনিস্ট বন্ধু ইসমাইলসহ আত্মগােপন করে আছে আহমেদ। রাস্তার এক পাগলা। কুকুর কামড়াল ওকে। জলাতঙ্ক রােগের চিকিৎসা নেওয়ার কোনাে উপায় নেই। শুরু হলাে দিন গােনা, একচল্লিশ দিনে স্পষ্ট হতে শুরু করে জলাতঙ্কের লক্ষণ । ইসমাইলের হাতে নিজের পিস্তল তুলে দিল আহমেদ। জলাতঙ্কের লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর যেন তাকে গুলি করে মেরে ওই ঘরেই মাটি চাপা দেওয়া হয় । দিন যায় । ঘােরের মধ্যে মাথার কাছে এসে দাঁড়ায় প্রেমিকা আনুশকা, যাকে কিছু না বলে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল আহমেদ। চীনা সহপাঠীকে টেক্কা দিয়েই এই নারীর। মন জয় করেছিল সে। কিন্তু আনুশকা কি। চীনা বন্ধুকে পুরােপুরি প্রত্যাখ্যান করেছিল? আনুশকা নিজের মুখে বলেছিল সি-ইয়া-উর সঙ্গেও শুয়েছে সে—নাকি তার ঈর্ষা উসকে। দেওয়ার জন্যই হেঁয়ালি করেছিল আনুশকা? অন্যদিকে ফিরে ফিরে আসছে বন্ধু ইসমাইলের বন্দিজীবনের স্মৃতি ।। ইসমাইলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী স্বামী ফেরার দিন। গােনে আর স্বগতােক্তির মতাে বলে যায় । স্বামীর আওড়ানাে কথা—‘জীবন বড় সুন্দর, ব্রাদার। কবি নাজিম হিকমতের শেষ কাজ এই। উপন্যাস। আত্মজৈবনিক এ উপন্যাসে তিনি আহমেদ আর ইসমাইলের জবানিতে হাজির হয়েছেন বারবার। নাজিমের অপূর্ব। রচনাশৈলী এ উপন্যাসকে করে তুলেছে ক্ষুরধার আর নিখুঁত। এ বই তুরস্কের কমিউনিস্টবিরােধী নির্যাতন আর দুঃশাসনের এক নির্মম দলিলও।