কীভাবে নামাজের মধুরতা লাভ করা যায়?
ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলতেন, দুনিয়ার জান্নাতে যে প্রবেশ করবে আখেরাতের জান্নাতেও সে প্রবেশ করবে। জানি না দুনিয়ার জান্নাত কি, কিন্তু সালাহতে তার কিছু ছিটেফুটা টের পেয়েছিলাম এই বইয়ের বিষয়াবলি প্রয়োগে।
আমরা প্রতিদিন নামাজ আদায় করি। আসছে বিশেষ রামাদান মাসে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার ও অসীম সাওয়াবের মাধ্যমে হয়ে দাঁড়ায় নামাজের ইবাদাত। সেই ইবাদাতের মধুরতা ও পুরো সাওয়াবের কোনো কমতি যেন না থাকে সেটা যেন নিশ্চিত করতে পারি আমরা। সেজন্য নামাজের প্রশান্তি ও শীতলতা দরকার। এ নিয়েই বইটি।
কুয়েতের দাঈ মিশারী আল-খারাজ তাঁর বন্ধুদের সাথে নিয়ে নামাজের মধুরতা ও প্রশান্তি সম্পর্কে যেই আলোচনাটি শুরু হয়েছিলো কুয়েতের “মসজিদ আল-কাবির” (বড় মসজিদ) সেটা নিয়মিত চলতো। তাঁর বন্ধুদের মাঝে যেই নামাজের প্রশান্তি ও মধুরতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিলো সেটি এতো আকর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে তাঁর শেষ আলোচনাটির সময়ে ঐ একই মসজিদে ২৫ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেছিলো! সেটারই অনেক বিস্তৃত বইয়ের সংস্করণ এটি।
আমাদের প্রায় সবারই নামাজের ‘খুশু’ কম-বেশি হয়ে থাকে। খুশু কী? এটার প্রকৃতি হলো অন্তরের বা মনের একটি অবস্থা যা নামাজে প্রশান্তি, গাম্ভীর্য ও বিনম্রতা বজায় রাখে; যা হৃদয় থেকে বর্ষিত হয়ে আমাদের আল্লাহর সামনে বিনম্র, আত্ম-সমর্পিত ও প্রশান্ত করে তুলে।
কোনো কোনো সময় নামাজের এই নির্দিষ্ট নিয়মের ইবাদাহ এমন হয় যেন আমরা প্রতিটি শব্দকে ভেতর থেকে অনুভব করি; আবার অন্য সময় নামাজ শুধু নিয়ম মেনে উঠবস ছাড়া আর কিছুই হয় না। ইন শাআ-আল্লাহ, আমরা অত্র বইতে নামাজের অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা আমাদের শারীরিক স্থিরতা ও অন্তরের প্রশান্তি ও নামাজের মধুরতা লাভ করতে সহায়তা করবে।
“দুনিয়ার রাজা-বাদশারা যদি জানতো নামাজে আমরা কতোটা প্রশান্তি পাই তবে তারা রাজত্ব বৃদ্ধির চাইতে সর্বক্ষণ নামাজ নিয়েই পড়ে থাকতো।”