মেডিটেশনগুচ্ছ (হার্ডকভার)
এই বইয়ের প্রতিটি কবিতা জীবনবোধের উপর রচিত, বলা যায় ধ্যানের বহুমাত্রিক পাঠ। এবং এটাই সত্যি মনের সত্যিকার প্রশান্তির জন্য ধ্যান, আধ্যাত্মিকতা ও প্রার্থণার বিকল্প নেই। নিয়মিত ধ্যান ও প্রার্থণা মানুষের মনে অন্যরকম একটি প্রশান্তি সৃষ্টি করে। এগুলো চর্চার মাধ্যমে আপনি আপনার ভেতরের সত্তা ও সৃষ্টিকর্তার সাথে একটি সংযোগ তৈরী করবেন। এটা আপনাকে ভেতর থেকে সুখী করবে। অতীতের গ্লানি বা ভবিষ্যতের শঙ্কা আপনাকে বিচলিত করতে পারবেনা। আপনি পরিপূর্ণ প্রশান্তি ও স্থিরতার সাথে বর্তমানের প্রতিটি মূহুর্ত কাটাতে পারবেন। শুধু এটুকু বলব, নিয়মিত প্রার্থনা ও মেডিটেশন করলে যে কোনও মানুষের জীবনেই ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। যেমন কবি এক জায়গায় বলতেছেন- আমি তোমাতে লীন হতে চাই যেভাবে নক্ষত্রগণ ব্ল্যাকহোলে লীন হয়ে যায়। এইযে কবির নিজেকে সমর্পণ করার তীব্রতা এবং আরো এগিয়ে গিয়ে বলতেছেন- তুমি আমায় শুরু থেকে শেষের উধ্র্বে নিয়ে চলো তোমার প্রতি এই আমার শুরু থেকে শেষ প্রার্থনা। এমন আকুতি, এমন শরণাগত হওয়া, আধ্যাত্মের মাঝে জীবনের অর্থ খোঁজার লক্ষ্যে এমন সমর্পন কি তবে? হ্যাঁ এটাই কবির কৃতিত্ব বলবো মানুষকে ভিন্নভাবে জীবনের আস্বাদ উপভোগের এক আহ্বান। তাই আরো এগিয়ে লিখলেন- বাঁশির ভেতর বাতাস ঢুকে যেভাবে সুর হয়ে যায় তুমিও সেভাবে আমার ভেতর ঢুকে... এভাবে বলতে গেলে প্রতিটা কবিতা থেকেই উদ্বৃত্ত করতে হবে যেমন জীবনাচারের অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ ঘুম সেখানেও ধ্যানী কবি ঘুমকে বলছেন- রাত হলে মানুষ কেন ঘুমিয়ে পড়ে? ঘুম- তুমি কে? ... বলো- বলো তোমার রহস্যময় ইতিহাস। শুধু তাই নয় জীবনের প্রতিটা অংশ নিয়ে আলোকপাত তো করেছেন বটে আরো এককাঠি এগিয়ে জীবনকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তার শাশ্বত স্বরূপ কি? এভাবে বলতে গেলে প্রতিটা কবিতা নিয়ে আলোকপাত করার দাবি রাখে প্রতিটি কবিতা। এই বইয়ে বিদেশি অনেক কবি কবিতার সূত্রধরে স্কেচ এঁকেছেন যা অন্যন্যতা দিয়েছে। পরিশেষ এটুকুই বলা বেশ ভালো লেগেছে কবির জন্য শুভকামনা ধ্যানের বহুমাত্রিক পাঠ শেখালেন কবি।