প্রায়শ হাঁপিয়ে যাই। বিনােদনের বড়ই কমতি। নিশ্বাসটা পর্যন্ত বড় করে নিতে পারি না- বাধা পায়। চোখটা মেলতে পারি না- ধাক্কা খায় বড় বড় দালানে। হাে হাে করে হাসতে পারি না- ভেতর থেকে দম ফাটানাে হাসি আসে না। যতই বড় হচ্ছি আনন্দকে, সময়কে ধরতে পারছি না। জেলা স্কুলে বছরগুলাে শতাব্দীর মতাে বড় মনে হতাে। আজ সপ্তাহকে ঘণ্টা মনে হয়। সপ্তাশেষে দু'একটা দিন হারিয়ে ফেলি। মােদ্দা কথা আনন্দ যেন নির্বাসনে যাচ্ছে দিনকে দিন। তাই প্রতিনিয়ত আনন্দ খুঁজি। নিজের আনন্দ খুঁজতে যেয়েই মূলত এই জোক্স সংগ্রহ। জোকস মনে করে মাঝে মাঝে একা একাই হেসে উঠি। আমার সাথে অনেকেই আমার মতাে হাসবে- এই ভেবে আনন্দ পাচ্ছি। এই আনন্দের পরিসর যতই বাড়বে ততই আনন্দ। এই বই যদি পাঠককে আনন্দ দেয় তবেই আমি তৃপ্ত ।
খান মাহবুব
খান মাহবুব সংস্কৃতিমনস্ক অনুসন্ধিৎসু একজন মানুষ। ছাত্রাবস্থায় বিতর্ক, কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতা প্রতিযােগিতায় পেয়েছেন বহু পুরস্কার। ১৯৯২ সালে বিতর্ক প্রতিযােগিতায় অর্জন করেছেন জাতীয় পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ‘পলল প্রকাশনী'। বহুমাত্রিক লেখালেখি থাকলেও তিনি প্রকাশনা ও আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ক লেখালেখিতে অধিক আগ্রহী। রচিত গ্রন্থ, বইমেলা ও, বই সংস্কৃতি’, বই, বইমেলা ও প্রকাশনার কথকতা’, ‘গ্রন্থচিন্তন’, টাঙ্গাইল জেলা পরিচিতি, টাঙ্গাইলের অজানা ইতিহাস’, ‘আটিয়ার ইতিহাস’, ‘জানা-অজানা মালয়েশিয়া’, ‘পথে দেখা বাংলাদেশ’ ও ‘রােহিঙ্গানামা ইত্যাদি পাঠক মহলে সমাদৃত।
বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে তিনি একজন নেতৃস্থানীয় সংগঠক। বই, বই প্রকাশনা ও বই মেলা সংক্রান্ত জাতীয় আয়ােজনের বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে খান মাহবুবের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগ চালুর অন্যতম উদ্যোগী তিনি। বর্তমানে বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
লেখকদের সংগঠন ‘লেখক সম্প্রীতির মহাসচিব তিনি। ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী সাহানা মাহবুব, তাদের দু'কন্যা তানিসা মাহবুব ও লহরি নহর মাহবুব। ১৯৭১-এর ৩ মে নানাবাড়ি টাঙ্গাইলের। করাতিপাড়ার সৈয়দ বাড়িতে জন্ম। পৈত্রিক নিবাস কালিহাতি উপজেলার রাজাফৈর গ্রামে। বাবা স্বনামধন্য আইনজীবী মাে. মােশারফ হােসেন, মা সৈয়দা জহুরা আখতার।