ব্রিটিশ শাসিত বাংলার এক গ্রাম। সে গ্রামেরই এক বধূ একদিন ভুলক্রমে আবিষ্কার করে বসে একটি অপরিচিত, নতুন স্বাদের মিষ্টিজাতীয় খাবার। তারপর? ঘটনাবলী এককেন্দ্রিক স্থির থাকেনি, গড়িয়ে গেছে সময়ের ফাঁকফোকর ধরে অপ্রত্যাশিত, নাটকীয় কিন্তু যৌক্তিকভাবে। অবিভক্ত ভারতবর্ষের অন্তর্গত একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে কলকাতাঘেঁষা মফস্বল পর্যন্ত বিস্তৃত এই উপন্যাসে একজন গ্রাম্যবধূর উদ্যোক্তা হয়ে উঠা, জাতপাত প্রথা, আধাত্ম্যবাদ, চক্রান্ত, কুসংস্কার ছাড়াও অতি সাধারন কারনে মানুষের জীবন যে কত দ্রুত পাল্টে যেতে পারে- সবকিছুর উদাহরণ উঠে এসেছে স্বচ্ছন্দে। মাঝারি আকারের উপন্যাস হলেও মিষ্টান্নের প্রতিটি শব্দ ও প্রতিটি বাক্যের যে ইশারা তার ব্যাখ্যা হাজার লাইনে দেয়া যাবে।
এই উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি ঘটনাই প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ।মিষ্টান্নে অতিরিক্ত কিছু বলা নেই, কেবল যেটুকু বললেই সাহিত্য ফুটে উঠে- সেটুকুই লেখক আপ্রাণ লিখতে চেষ্টা করেছেন
নীলা হারুন
লেখক-নীলা হারুন
জন্ম-২৩অক্টোবর
পিতা- মোঃ হারুনুর রশিদ তালুকদার
মাতা- রাশিদা আক্তার
পূর্বপুরুষের নিবাস চাঁদপুর জেলায় হলেও নীলা হারুনের জন্ম এবং বেড়ে উঠা সিলেটের মায়াবী পরিবেশে।ছাপার অক্ষরে এই প্রথম লেখা না হলেও অলীকালোকে তার প্রথম প্রকাশিত একক গ্রন্থ।তার লেখা গল্পে ভারতে "মিস্টেক" নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে,যেটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে।চার ভাইবোনের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ লেখক ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়ণরত।