ফ্ল্যাপের কিছু কথাঃ আমেরিকার অন্যতম অভিজাত পরিবার স্ট্যানফোর্ড তবে এর খ্যাতি ও গ্ল্যামারের পেছনে লুকিয়ে আছে ব্ল্যাক মেইলিং, ড্রাগন ও খুন। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী হ্যারি স্ট্যানফোর্ড কর্সিকায় ইয়ট-ডুবি হয়ে রহস্যজনকভাবে মারা গেলেন। তারপর গোটা বিশ্বজুড়ে ঘটতে শুরু করল নানা ঘটনা। বোস্টনে মৃত হ্যারির অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় তাঁর আত্মীয়স্বজনা এসেছে, ও খানে হাজির হয়ে গেল অপূর্ব সুন্দরী এক তরুণী। নিজেকে দাবি করল হ্যারি স্ট্যানিফোর্ডের মেয়ে বলে। বলল সে টাইকুনের অগাধ সম্পত্তির দাবিদার। এ মেয়ে কি সত্যি হ্যারির কন্যা নাকি নকল কেউ? এ কাহিনী আবর্তিত হয়েছে ইটালির মনোহর রিভিয়েরা থেকে প্যারিস ও নিউইয়র্কের ফ্যাশন সেলুনে, বোস্টনের ব্যাক বে থেকে ফ্লোরিডার হোব সাইন্ডে। সকাল, দুপুর আর রাতের এ থ্রিলার উপন্যাস আপনাকে শিহরিত ও রোমাঞ্চিত করে তুলবে।
সিডনি শেলডন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক সিডনি শেলডন। তাঁর প্রথম বই ‘দ্য নেকেড ফেস’কে নিউইয়র্ক টাইমস অভিহিত করেছিল বছরের সেরা রহস্যোপন্যাস' বলে। শেলডন যে ১৮টি থ্রিলার রচনা করেছেন, প্রতিটি পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলারের মর্যাদা। তার সবচেয়ে হিট রােমাঞ্চোপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : দ্য আদার সাইড অভ মিডনাইট, ব্লাড লাইন, রেজ অভ এঞ্জেলস, ইফ টুমরাে কামস, দ্য ডুমসডে কন্সপিরেসি, মাস্টার অব দ্য গেম, দ্য বেস্ট লেইড প্ল্যানস, মেমােরিজ অভ মিডনাইট ইত্যাদি। এই বিখ্যাত লেখক ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে মৃত্যুবরণ করেন।
অনীশ দাস অপু
জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সাল জন্মস্থান বরিশাল, পিতা প্ৰয়াত লক্ষী কান্ত দাস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স সহ এম, এ করেছেন। ১৯৯৫ সালে লেখালেখির প্রতি অনীশের ঝোক ছেলেবেলা থেকে ছাত্রাবস্থায় তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রিকাগুলোতে চিত্তাকর্ষক ফিচার, গল্প এবং উপন্যাস অনুবাদ শুরু করেন। হরর এবং থ্রিলারের প্রতি তাঁর ঝোকটা বেশি। তবে সায়েন্স ফিকশন, ক্লাসিক এবং অ্যাডভেঞ্জার উপন্যাসও কম অনুবাদ করেননি। এ পর্যন্ত তাঁর অনুদিত গ্ৰন্থ সংখ্যা ১০০’র বেশি। অনীশ দাস অপু লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি দৈনিক যুগান্তর- এ সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন । তবে লেখালেখিই তার মূল পেশা এবং নেশা ।