নীলস্বপ্ন (হার্ডকভার) - নিশো আল মামুন | বইবাজার.কম

নীলস্বপ্ন (হার্ডকভার)

    4.7 Ratings     10 Reviews

বইবাজার মূল্য : ৳ ২১০ (২৫% ছাড়ে)

মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২৮০

প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ





WISHLIST


Overall Ratings (10)

Tasnim
11/05/2020

বইবাজার ও নীলস্বপ্ন বুক রিভিউ প্রতিযোগিতা। . উপন্যাসের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় চরিত্র রঞ্জুর বাবার মৃত্যু হয়।রঞ্জু সেসময় বাবার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকলেও অনুভব করতে পারে বিয়োগ ব্যাথ্যা।এরপর রঞ্জু বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছেড়ে বসবাস করতে থাকে বাবার স্বপ্নের ছায়াকুটিরে।পাশে এসে দাড়ায় তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তাদের সঞ্চিত সম্পদ দিয়ে ছায়াকুটির সাজাতে সাহায্য করে।রঞ্জু স্বভাবে খামখেয়ালি ধরনের। পছন্দ করে বই পড়তে,গভীর রাতে রাস্তায় হাঁটতে, কবিতা পড়তে,আবৃত্তি করতে।তার কাছে ভালো থাকা মানে হলো হার্ট পালস্ ভালো থাকা।রঞ্জু ভালোবাসে রিয়াকে।কিন্তু মুখ ফুটে বলা হয়না।একদিন সবাইকে চমকে দিয়ে বিসিএসে প্রথম হয় রঞ্জু। তারপর সব কিছু এক মূহুর্তে এলোমেলো হয়ে যায়।স্রোতের মতো দুঃসময় নিয়ে এগিয়ে আসে দুঃস্বপ্নের ঝড়।রঞ্জু কি রিয়ার কাছে প্রকাশ করতে পারে তার ভলোবাসার অনুভূতি গুলো?আগলে রাখতে পারে ছায়া কুটিরকে?নীলস্বপ্ন কি দুঃখের নাকি সুখের?? জানতে চাইলে বইটি পড়তেই হবে। . নীলস্বপ্ন বইটি মাঝারি পরিসরের একটি উপন্যাস। লেখক অনেক গুলো চরিত্রের সমন্বয়ে একাধিক গল্পকে এক সূত্রে গেঁথেছেন।যেগুলোর মধ্যে ভালোবাসা, সংগ্রাম,বন্ধুত্ব স্থান পেয়েছে।এই ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন লেখক।লেখকের জীবনাদর্শন সত্যিই চমৎকার যা আমাকে ভীষনভাবে মুগ্ধ করেছে। লেখনীর ভাষা সহজবোধ্য ও সাবলীল হওয়ায় যে কারো জন্য কহিনীতে ডুবে যাওয়া স্বাভাবিক। বইটিতে অপ্রয়োজনীয় কোনো সংলাপ ছিলনা বললেই চলে। বইটির কথাটি ' পাগলদেরও যে আনন্দ-বেদনার অনুভূতি আছে তা মনজু পাগলাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা গেল।' আমাকে খুব ছুঁয়েছে।ছোটো বেলায় আমার স্কুলে যাওয়ার পথে বসে থাকা মনজু পাগলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।যদি আমি কখনো তার সাথে মোরগপোলাও ভাগ করতাম তবে কেমন হতো?? বইটিতে অন্যান্য চরিত্র গুলো যেমন রফিক,বীথী, পারুল, মোশারফ মামা, রেহানা চাচী মন ছুঁয়ে গেছে।সাথে রঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি, যেমন- কখনো কখনো ইচ্ছে হয়. ভুলে যাব চাঁদ, আর নিশুতি রাত। নীল অভিমানে পুরে একা, শুধু চোখের জলের ক্ষয়! মনে নতুন দৃশ্যপট তৈরি করে দিয়েছে।প্রচ্ছদ, বাধাই, পৃষ্ঠা সজ্জা, কিছু বানান ভূল ছাড়া কোথাও কোনো কমতি রাখেনি লেখক ও প্রকাশক। . বইটিতে আমার ভালোলাগার একটি অংশ হলোঃ 'আচ্ছা, তোমার কী ভালো লাগে? কবিতা আবৃত্তি।বই পড়তে, গভীর রাতে রাস্তায় হাঁটতে। কবিতা পড়ে কী লাভ? কবিতার সাথে জীবনের আশ্চর্য এক সম্পর্ক।মনের শক্তি বৃদ্ধি করে। আমেরিকার মহান প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন মনের শক্তি বৃদ্ধির জন্য কবিতা আবৃত্তি করতেন।ধরুন আপনার মন কোনো কারনে খারাপ, তখন আপনার কী করা উচিত? কী করা উচিত? আপনার প্রিয় পোশাকটি পরে একটা কবিতা আবৃত্তি করা উচিত। শরীর ও মন ফুরফুরে হয়ে যাবে। ব্রেইন আলফা লভেলে নেমে আসবে। হৃদয় প্রসারিত হবে।তবে সবচেয়ে ভালো হয়... সবচেয়ে ভালো হয় কী? আপনার যেখানে কবিতা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে সেই জায়গার পরিবেশ সাজিয়ে গুছিয়ে নিলে।আপনার ইচ্ছে হলো ফাঁসি সম্পর্কে কবিতা পড়তে। আপনি সেখানে ফাঁসির দড়িও ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।' . বইটিতে অনেক উক্তি ও অসাধার কিছু লাইন রয়েছে।আমার প্রিয় কয়েকটি হলোঃ • প্রত্যেকটা মানুষ যখন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসে তার পরিচয় হয় রোগী হিসাবে। অন্য কোনো পরিচয় এখানে আর প্রয়োজন নেই। • পাগল কি কখনো নিজেকে পাগল বলে পরিচয় দেয়! • মেয়েরা শাড়ি পরে দুই কারণে - মন খুব খারাপ হলে আবার খুব ভালো থাকলে। • কিছু মানুষের পাগলামি তার চারপাশের মানুষের জন্য একটা সুন্দর মুহুর্ত তৈরি করে। বইয়ের নাম - নীলস্বপ্ন। লেখক - নিশো আল মামুন। পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১২০। প্রকাশনী - অন্যপ্রকাশ। প্রথম প্রকাশ - একুশের বইমেলা ২০২০। মুদ্রিত মূল্য - ২৮০ টাকা। রেটিংঃ ৪.৫।


Tanjim Wadud Eshika
29/04/2020

#বুক_রিভিউ বইয়ের নাম : নীলস্বপ্ন লেখক : নিশো আল মামুন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১২০ প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ প্রথম প্রকাশ : একুশের বইমেলা ২০২০ মুদ্রিত মূল্য : ২৮০ টাকা (১২ মার্কিন ডলার) শুধুতেই রঞ্জু নামক এক যুবক তার বাবাকে হারায়। মানুষটা যে মারা গেছে সে খবর জানার আগেই রঞ্জু এবং রেহানা চাচি আগে থেকেই কেমন করে যেন আভাস পেয়েছিলেন। রঞ্জুর বাবা সাজ্জাদের কারণেই তার বন্ধু ফারুক জীবনে সফল কিন্তু তিনি এখন আর তেমন কিছুর ধার ধারেন না। তবে তার স্ত্রী রেহানা তাদের বেহাল দশায় হাত বাড়িয়ে দেয়া সাজ্জাদ ভাইয়ের অবদান ভুলতে পারেন না। এদিকে বাবার স্বপ্নের বাড়ি ছায়াকুটিরে বাস করা শুরু করে রঞ্জু। এই ছায়াকুটিরকে সাজাতে নিজেদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে এগিয়ে আসে সবাই। রঞ্জু ছেলেটা একটু পাগলাটে ধরনের। তার ভালো লাগে কবিতা আবৃত্তি করতে,বই পড়তে,গভীর রাস্তায় হাঁটতে। ফারুক সাহেবের কাছে ভালো থাকার অর্থ ডেবিট ক্রেডিট সেভিংস থাকা হলেও রঞ্জুর কাছে ভালো থাকা মানে হার্ট পালস্ ভালো থাকা। রঞ্জুর ভালো বান্ধুবী লিপির বাসায় রঞ্জুর আনাগোনাও ভালোই। বান্ধুবীকে বোনের মতো আগলে রেখেছিল রঞ্জু। একদিন হুট করে রঞ্জুর মোশারফ মামা বিদেশ থেকে চলে আসে। তারপর রঞ্জু,তার মামা এবং বন্ধু রফিক মিলে একসাথে কিছু অদ্ভুত সুন্দর মুহুর্ত কাটায়। অর্ধেক রাতে তাদের সাথে মোরগপোলাও এর ভাগ পায় মনজু পাগলা এবং রঞ্জুর বিশ্বস্ত কুকুর লালপাহাড়। অতঃপর রফিকের স্ত্রী বীথীর বিধবা খালা পারুলের সাথে মোশারফ মামার বিয়ে দেয় রঞ্জু।রঞ্জু এবং রিয়া একে অপরকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসলেও শেষ কেউ কাউকে সেকথা মুখ ফুটে বলতে পারে না। তবু তারা সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছিল। একসাথে গাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে ডাল ধরে কদম ফুল পেড়ে রিয়ার সামনে ধরেছিল। শেষদিকে দেখা যায়, রঞ্জু বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে কিন্তু হুট করেই সবকিছু কেমন জানি এলোমেলো হয়ে যায়। কারণ খুবই বাজে রকমের এক্সিডেন্টের শিকার হয় রঞ্জু। জীবন-মরণের লড়াই শুরু হয়। জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়ে সে কি বেঁচে উঠে তার মনের কথাগুলো রিয়াকে বলতে পারবে? জানতে হলে পড়তে হবে নীলস্বপ্ন বইটি। প্রিয় লাইনসমূহ : ১. গভীর রাতে মানুষের মনের গভীরতম দুঃখগুলো কেন এভাবে ভেসে ওঠে! ২. সব সময় সব ব্যাপাএও আগ্রহ দেখাতে নেই। এতে মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে যেতে হয়। ৩. আমার কাছে ভালো থাকা মানে হার্ট পালস্ ভালো থাকা। ৪.এক পাগল অন্য পাগলকে শনাক্ত করতে পারবে না। ৫. কিছু মানুষের পাগলামি তাএ চারপাশের মানুষের জন্য একটা সুন্দর মুহুর্ত তৈরি করে। ৬.উন্মাদ রোগ সম্ভবত ছোঁয়াচে। ৭. পৃথিবীর সুন্দরতম মুহুর্তগুলো ছোটখাটো আয়োজন করে হলেও তা অনুভব করা দরকার। ৮.বাহিরে ভয়ংকর সুন্দর এক চাঁদ উঠেছে। চৈতালী চাঁদ। সারা রাত হাঁটলে মন্দ হতো না। ৯.জীবন যতক্ষণ আছে ততক্ষণই কাজ থাকবে। ১০.পাগল কি কখনো নিজেকে পাগল বলে পরিচয় দেয়! ১১.পাগলদেরও যে আনন্দ-বেদনার অনুভূতি আছে তা মনজু পাগলাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা গেল। ১২. মমতাময়ী নারীরা মমতার কথাই শোনাবে এটাই স্বাভাবিক। ১৩. মেয়েরা শাড়ি পরে দুই কারণে - মন খুব খারাপ হলে আবার খুব ভালো থাকলে। ১৪.যদি একবার এসে সে তা দেখত,পড়ত,বুঝত এবং ভালোবাসত,তাহ লে জানত সেখানে কার জন্য এই কান্না,কার জন্য এই প্রতীক্ষা,কার জন্য এই বুকের মধ্যে এত ভালোবাসা জমানো! তাহলে সে এমন করে ফিরে যেত না। ১৫. রিয়ার চোখে জল এসে গেছে। বৃষ্টির কারণে সে জল স্পষ্ট দেখা গেল না। রঞ্জুর চোখ সজল হয়ে উঠল সে অন্যদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে নিল। ১৬.পৃথিবীর সব মূল্যবান প্রাপ্তিতে মিষ্টি আর ফুল দেওয়া হয়। কেন দেওয়া হয় জানো? এই দুটো জিনিস সবকিছুর উর্ধ্বে। অথচ মিষ্টি কেজি দরে বিক্রি হয়। কোনো কিছুই তুচ্ছ নয়। পৃথিবী বড় রহস্যময়। ১৭.প্রত্যেকটা মানুষ যখন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসে তার পরিচয় হয় রোগী হিসাবে। অন্য কোনো পরিচয় এখানে আর প্রয়োজন নেই। ১৮. আমি নাহয় আমার ছোট ছোট দীর্ঘশ্বাস আড়াল করেই রাখব। আড়াল করে রাখব আজন্ম আমার অপ্রকাশিত ভালোবাসার গল্প কথা। তবু শেষ কথাটি একবার বলে যাও। ব্যক্তিগত মতামত : আমার কাছে উপন্যাসটি বাস্তবে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট কিছু গল্পের সমষ্টি।হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি সবকিছু মিলিয়ে ঘোর লাগার মতো অসাধারণ একটি উপন্যাস।


Khatun
29/04/2020

|| নীলস্বপ্ন || লেখক নিশো আল মামুন স্যারের,উপস্থাপন করা অত্যান্ত গুনগত মানসম্পন্ন একটি সমকালীন উপন্যাস। অপরূপ লেখনশৈলী আর বাস্তবতার অমোঘ নির্যাসে অবমিশ্রি সমন্বয় ফুটিয়ে তুলেছে লেখক নীলস্বপ্ন উপন্যাসে। উপন্যাসটিতে লেখক খুবই সুন্দরভাবে কল্পনা জগতকে বাস্তবিক রুপদান করেছেন। তার লেখা উপন্যাসগুলোর ধরন এবং সকলের কাছে উপস্থাপন করার অসাধারণ পন্থা আমাকে মুগ্ধ করেছে। উপন্যাসটিতে রঞ্জু,মোশারফ মামা,মনজু ও রফিক সহ আরও চরিত্রগুলো ছিল অসাধারণ। তাদের মনের ভাব প্রকাশগুলো ছিল অন্যান্য উপন্যাসের চরিত্র থেকে একটু ব্যতিক্রম ও মনকাড়া। উপন্যাসের প্রতিটি শব্দের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য অনুভূতি লুকায়িত। ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটিতে সুখ দুঃখ গাঁথার অপরুপ সমন্বয় করে লিখেছেন নিশো আল মামুন স্যার। উপন্যাসটি পাঠকের মন ভালো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। উপন্যাস প্রেমী পাঠকদের জন্য ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটি হবে একধরনের আশির্বাদ স্বরুপ। একটা ব্যক্তিগত আবদার হলো, পাঠক যদি এই বইটিকে সর্বাঙ্গীনভাবে উপভোগ করতে চান তাহলে যেন বইটি নিঝুম রাতে পড়েন। অতএব যারা উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটি পড়া অত্যাবশ্যক। নিশো আল মামুন স্যার থেকে ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটির মত আরও সুন্দর সুন্দর উপন্যাস উপহার চায় পাঠকেরা। মহান আল্লাহ তায়ালা লেখককে উত্তম প্রতিদান দান করুন। (পাঠকদের কাছে অনুরোধ থাকবে ‘নীলস্বপ্ন’ বইটি কিনুন, পড়ুন ও সংগ্রহে রাখুন।)


Abdul
28/04/2020

|| নীলস্বপ্ন || লেখক নিশো আল মামুন স্যারের,উপস্থাপন করা অত্যান্ত গুনগত মানসম্পন্ন একটি সমকালীন উপন্যাস। অপরূপ লেখনশৈলী আর বাস্তবতার অমোঘ নির্যাসে অবমিশ্রি সমন্বয় ফুটিয়ে তুলেছে লেখক নীলস্বপ্ন উপন্যাসে। উপন্যাসটিতে লেখক খুবই সুন্দরভাবে কল্পনা জগতকে বাস্তবিক রুপদান করেছেন। তার লেখা উপন্যাসগুলোর ধরন এবং সকলের কাছে উপস্থাপন করার অসাধারণ পন্থা আমাকে মুগ্ধ করেছে। উপন্যাসটিতে রঞ্জু,মোশারফ মামা,মনজু ও রফিক সহ আরও চরিত্রগুলো ছিল অসাধারণ। তাদের মনের ভাব প্রকাশগুলো ছিল অন্যান্য উপন্যাসের চরিত্র থেকে একটু ব্যতিক্রম ও মনকাড়া। উপন্যাসের প্রতিটি শব্দের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য অনুভূতি লুকায়িত। ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটিতে সুখ দুঃখ গাঁথার অপরুপ সমন্বয় করে লিখেছেন নিশো আল মামুন স্যার। উপন্যাসটি পাঠকের মন ভালো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। উপন্যাস প্রেমী পাঠকদের জন্য ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটি হবে একধরনের আশির্বাদ স্বরুপ। একটা ব্যক্তিগত আবদার হলো, পাঠক যদি এই বইটিকে সর্বাঙ্গীনভাবে উপভোগ করতে চান তাহলে যেন বইটি নিঝুম রাতে পড়েন। অতএব যারা উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটি পড়া অত্যাবশ্যক। নিশো আল মামুন স্যার থেকে ‘নীলস্বপ্ন’ উপন্যাসটির মত আরও সুন্দর সুন্দর উপন্যাস উপহার চায় পাঠকেরা। মহান আল্লাহ তায়ালা লেখককে উত্তম প্রতিদান দান করুন। (পাঠকদের কাছে অনুরোধ থাকবে ‘নীলস্বপ্ন’ বইটি কিনুন, পড়ুন ও সংগ্রহে রাখুন।)


Opi
26/04/2020

মানব জীবন অনেক অদ্ভুত। আমাদের চার দিকে কত মানুষ কতো কিছু দিয়ে ভরপুর কিন্তু এর পরো আমরা একা। প্রতিটি মানুষ দিন শেষে এই বিষয়টি অনুভব করে, আমিও তাদের এক জন। ছোট বড় কত না ঘটনা ঘটে প্রতিদিন। পাওয়া না পাওয়া দিয়ে ভরপুর । এ বইটি এই ঘটনা গুলো নিয়েই সাজানো। এত সুন্দর করে ঘটনা গুলো লিখা হয়েছে যে কেও বইটি পড়ার সময় নিজেকে দিয়ে অনুভব করতে পারবে। কিছু কিছু জায়গাতে আমার মনে হচ্ছে আরে এই বইটি কি আমকে নিয়ে লিখা। কিন্তু আমি জানি উত্তর না, আমাকে নিয়ে লিখা না। কিন্তু আমার মতোন কিছু মানুষকে নিয়ে লিখা। যারা তার চার পাশে সব থাকা সত্ত্বেও একা তাদের নিয়ে লিখা।বইটি পড়ে অদ্ভুত এক আনন্দ পেয়েছি। নিশো আল মামুন কে ধন্যবাদ তার বইটির জন্য।


Mehzabin
25/04/2020

কখনো কখনো ইচ্ছে হয় ভুলে যাব চাঁদ, আর নিশুতি রাত নীল অভিমানে পুড়ে একা শুধু চোখের জলের ক্ষয়। আধুনিক সামাজিক উপন্যাস যুগের বাস্তব চিত্র। যুগ, সময়, প্রয়োজন ও পরিবর্তন কে নিজ হাতে দুই মলাটে ধরে রাখাই সামাজিক উপন্যাসের মূল বৈশিষ্ট্য। রঞ্জু আর দশটা ছেলের মতোই হতে চেয়েছিল। কিন্তু কিছু ঘটনা আর দুর্ঘটনা তাকে নিয়মের বাইরে নিয়ে যায়। স্বপ্নগুলো রঞ্জুর জীবনে এসে ধরা দেয় দুঃস্বপ্ন হয়ে। রেহানা চাচির সাথে যখন সে গ্রামে পৌঁছায় তখন মেঘে মেঘে অনেক বেলা গড়িয়েছে। প্রিয় বাবার মৃত্যু হয়েছে। কেউ জানায়নি রঞ্জুকে। তবু মহসিন হলের বিছানায় শুয়ে বাবার মৃত্যু অনুভব করেছে সে। সামাজিক নিয়ম অনুযায়ী বাবার অবর্তমানে তার স্বপ্নের বাড়ি ছায়া কুটিরের দায়িত্ব এসে যায় রঞ্জুর কাঁধে। সব ফেলে ছায়া কুটিরে ছুটে যায় সে। রঞ্জু কি পারবে তার বাবার স্বপ্নকে পূরণ করতে? রঞ্জুর ভালোবাসার মানুষ রিয়া। খুব ইচ্ছে দুজন এক বৃষ্টিতে কদম ফুল হাতে ভিজবে। রিয়াকে মনের কথাগুলো ঠিকঠাক ভাবে জানানোর আগেই ঢাকা ছাড়তে হয় তাকে। সময়ের সাথে নদীর স্রোতের মত রিয়া হারিয়ে যাবে না তো রঞ্জুর জীবন থেকে? অনেকগুলো নীল কষ্টের সাথে কিছু সুখ ও যোগ হয় রঞ্জুর জীবনে। বন্ধু রফিকের স্ত্রী বিথী। মায়াবতী এই মেয়েটিকে রঞ্জুর ভারী ভালো লাগে। তার চিরকুমার মামার সাথে গাঁটছড়া বেঁধে দেয় বিথীর বিধবা খালার পারুল খালা যেন তার কতোকালের আপনজন। সবাই একসময় এগিয়ে আসে 'ছায়া কুটির' কে তার সব সৌন্দর্য নিয়ে আগের মতোই রাখতে। সবাই নিজের সঞ্চিত অর্থ নির্দ্বিধায় তুলে দেয় রঞ্জুর হাতে। আবৃত্তি করতে ভালোবাসা রঞ্জু ' বিসিএসে প্রথম হয়ে সবাইকে চমকে দেয়। সুখ বুঝি চির অধরা? তাই আরেকটি দুঃস্বপ্ন গুটিগুটি এগিয়ে আসে ভয়াবহ এক দুঃসময় নিয়ে। কী সেই দুঃস্বপ্ন! জানার আগ্রহ হচ্ছে? তাহলে চলুন পাঠক দেশের শীর্ষ প্রকাশনী 'অন্যপ্রকাশ' থেকে প্রকাশিত। সু লেখক 'নিশো আল মামুন' এর নীল স্বপ্ন বইটি একবার পড়ে নেই। আমরাও একবার রঞ্জুর মুখে সেই কবিতার স্বাদ নেই। 'কখনো কখনো ইচ্ছে হয় কথা বলবো না। কখনো কখনো ইচ্ছে হয়, দেখবো না আকাশ এতো ভুল কেন হয় জীবনে? ' এক জীবন ধরে মানুষের আশা - আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ভালোবাসা, স্মৃতি - বিস্মৃতি, সময়ের ইতিহাস ও সমসাময়িক ঘটনার ইতিবৃত্ত এই উপন্যাসকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। সব মিলিয়ে ' নীল স্বপ্ন ' একটি সংগ্রামবহুল, গৌরবময় ও আনন্দ - বেদনার এক বাস্তব চিত্র। একটি সুন্দর সঠিক উপন্যাস পড়তে চাইলে বুদ্ধিমান পাঠকেরা এই বইটিকে তাদের পড়ার লিষ্টে রাখতে ভুল করবেন না। যে বইয়ে জীবন বোধ থাকে, যে বইটি পড়লে তার মাঝে নিজেকে বা নিজের চোখে দেখা জীবনকে খুঁজে পাওয়া যায়, সেই বইটিকে চোখ বুজে সেরা বইয়ের তালিকায় রাখা যায়। বই পড়ে কখনো সময় অপচয় হয় না। বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না। হ্যাপি রিডিং। বই - নীল স্বপ্ন লেখা - নিশো আল মামুন মুদ্রিত মূল্য - ২৬০ ৳


Md. Shohan Ali
22/04/2020

নীলস্বপ্ন ।।।। পরিষ্কার নীলাকাশ! কড়া রোদ উঠেছে। কিন্তু বাতাস ঠাণ্ডা। রঞ্জু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। তার আজ একা হাঁটতে ইচ্ছে করছে না। সাথে মোশারফ মামা, রফিক থাকলে বেশ ভালো লাগত। তাদের সাথে মনজু পাগল লাল পাহাড় থাকলেও মন্দ হত না। মনে হতো যেন একটা বিজয় মিছিল বের হয়েছে। রঞ্জু লম্বা লম্বা পা ফেলে একরকম আনন্দ নিয়ে হাঁটছে। আজ ফুল ফুটার দিন। লিপির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। রফিকের ঘরে ফুটফুটে একটা রাজকন্যা এসেছে। পারুলের পেটে নতুন মানুষ। পৃথিবীতে আসার অপেক্ষা করছে। মোশারফ পারুলকে সাথে করে ভিন দেশে সংসারের ছবি আঁকছে। নীল বাড়িও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে জেগে উঠেছে। সবচেয়ে বড় খবর হলো রঞ্জু বিসিএস এ প্রথম হয়েছে। এক বাগানে এত ফুল ফুটেছে রঙে আর গন্ধে মন ব্যাকুল হয়ে উঠছে। এদিকে রিয়া নীল শাড়ি পরেছে। চোখে কাজল দিয়েছে । এতে চোখটা আরও টানা টানা লাগছে। তার হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ। শরীর থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ ভেসে আসছে। রিয়া কার জন্য অপেক্ষা করছে? বাবার মৃত্যুর পর রঞ্জু কি পারবে ছায়া কুটির বাড়ির হাল ধরতে? অপরূপ লেখনশৈলী আর বাস্তবতার অমোঘ নির্যাসের অবিমিশ্র সমন্বয় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক নীল স্বপ্ন উপন্যাসে। নীলস্বপ্ন সত্যিই একটি মজার উপন্যাস। উপন্যাসটি অবশ্যই আপনাদের ভালোলাগবে আশা করি।।।


Salim
13/04/2020

নীলস্বপ্ন ।।।। পরিষ্কার নীলাকাশ! কড়া রোদ উঠেছে। কিন্তু বাতাস ঠাণ্ডা। রঞ্জু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। তার আজ একা হাঁটতে ইচ্ছে করছে না। সাথে মোশারফ মামা, রফিক থাকলে বেশ ভালো লাগত। তাদের সাথে মনজু পাগল লাল পাহাড় থাকলেও মন্দ হত না। মনে হতো যেন একটা বিজয় মিছিল বের হয়েছে। রঞ্জু লম্বা লম্বা পা ফেলে একরকম আনন্দ নিয়ে হাঁটছে। আজ ফুল ফুটার দিন। লিপির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। রফিকের ঘরে ফুটফুটে একটা রাজকন্যা এসেছে। পারুলের পেটে নতুন মানুষ। পৃথিবীতে আসার অপেক্ষা করছে। মোশারফ পারুলকে সাথে করে ভিন দেশে সংসারের ছবি আঁকছে। নীল বাড়িও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে জেগে উঠেছে। সবচেয়ে বড় খবর হলো রঞ্জু বিসিএস এ প্রথম হয়েছে। এক বাগানে এত ফুল ফুটেছে রঙে আর গন্ধে মন ব্যাকুল হয়ে উঠছে। এদিকে রিয়া নীল শাড়ি পরেছে। চোখে কাজল দিয়েছে । এতে চোখটা আরও টানা টানা লাগছে। তার হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ। শরীর থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ ভেসে আসছে। রিয়া কার জন্য অপেক্ষা করছে? বাবার মৃত্যুর পর রঞ্জু কি পারবে ছায়া কুটির বাড়ির হাল ধরতে? অপরূপ লেখনশৈলী আর বাস্তবতার অমোঘ নির্যাসের অবিমিশ্র সমন্বয় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক নীল স্বপ্ন উপন্যাসে। নীলস্বপ্ন সত্যিই একটি মজার উপন্যাস। উপন্যাসটি অবশ্যই আপনাদের ভালোলাগবে আশা করি।।।


Al amin
12/04/2020

গভীর রাত রঞ্জু ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখল... রঞ্জুর ঘুম ভেঙে গেলো। তার সমস্ত শরীর দিয়ে ঘাম বইছে। রাত কত হয়েছে? দেয়াল ঘড়িতে টর্চের আলো ফেলল। ঘড়ির কাটা দুটো বিশের ঘরে এসে আটকে আছে। রঞ্জু বিছানা থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খেল। হলের টানা বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। চারদিক গভীর অন্ধকার, কালবৈশাখী ঝড় শুরু হবে। বাতাস দিচ্ছে। দূরে ট্রেনের হুইসেল শোনা যাচ্ছে। গলি রাস্তার কুকুর করুণ ভাবে ডাকছে।  তার বুক হু হু করতে লাগলো।  উকিল সাহেবের কাছে শুনলাম তোমার বিয়ের ডেট হয়েছে নাকি। তোমার বিয়ের ডেট হয়েছে খবরটা শুনে গুড লাগছে। শুনলাম ছেলে আমেরিকায় লিভ করছে। জি, ঠিকই শুনেছেন। তোমাকে শাড়িতে "গোলাপ" সুন্দর লাগছে। নান্দনিক লেখনী আর বাস্তবতার অমোঘ নির্যাসের অবিমিশ্র সমন্বয় রয়েছে "নীলস্বপ্ন" উপন্যাসে।


Md.Al-Imran Hemel
01/04/2020

নিশো আল মামুন লেখা নীল স্বপ্ন অসাধারণ৷ একটা বই অপরূপ লেখনশৈলী আর বাস্তবতার অমোঘ নির্যাসের অবিমিশ্র সমন্বয় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক নীল স্বপ্ন উপন্যাসে।


PAYMENT OPTIONS

Copyrights © 2018-2024 BoiBazar.com