এই সংকলনের লেখাগুলাে ঠিক গল্প বা প্রবন্ধ নয়, বরং বাস্তব জীবনের টুকরাে গল্প ইংরেজিতে যাকে বলে এনেকডােটস'। বাংলায় বলা যেতে পারে ‘স্মৃতিগদ্য। এগুলােতে লেখক সততা এবং নিষ্ঠার সাথে নিজের জীবন এবং অভিজ্ঞতার আলােকে নানান সামাজিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। যে বিষয়গুলাে নিয়ে কথা বলাকে আমাদের সমাজে লজ্জাকর মনে করা হয়, সেগুলাে নিয়ে নীরব থাকাকেই লজ্জাকর বলে মনে করেন লেখক। এই লজ্জার অনুভূতি তাকে সরব হতে বাধ্য করে, প্রতিবাদী করে। সেই হিসেবে ‘নীরবতা আমার নতুন লজ্জা’ সামাজিক অসঙ্গতি এবং অসমতার বিরুদ্ধে লেখকের একটি নির্লজ্জ চিঙ্কার।
জেসমিন চৌধুরী
জেসমিন চৌধুরীর জন্ম ১৯৭১ সালে সিলেটে। স্কুলজীবন সমাপ্ত হতে না হতেই মাত্র আঠারাে বছর বয়সে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিলেতে সংসারজীবন শুরু হয় তাঁর। পরবর্তীতে সন্তান পালন ও জীবিকা অর্জনের পাশাপাশি নিজ আগ্রহ ও চেষ্টায় ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্তবয়স্কদের বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানাের প্রাতিষ্ঠানিক যােগ্যতা অর্জন করেন। দীর্ঘদিন লন্ডনে এবং ম্যানচেস্টারে শিক্ষকতা করার পর বর্তমানে তিনি ম্যানচেস্টারের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য ফ্রি-ল্যান্স দো-ভাষী। হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও বিলেতের নাট্যজগতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থেকে বিলেতের বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন তিনি। ২০১৬ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’ নামক নাট্যোৎসবে মঞ্চায়িত তার প্রথম নাটক ‘মায়াজ হানিমুনস’ ব্যাপকভাবে দর্শকনন্দিত হয়েছে। ছােটবেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস থাকলেও প্রকাশিত লেখার জগতে জেসমিন চৌধুরীর পদচারণা শুরু হয়েছে মাত্র বছর দুয়েক আগে। তার প্রকাশিত দুটি বই (নিষিদ্ধ দিনলিপি-২০১৭ এবং একজন মায়া অজস্র মধুচন্দ্রিমা-২০১৮) পাঠকের, বিশেষ করে নিগৃহিত নারীদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।