আমার কাছে সাহিত্য আর সাধারণ কথার মাঝে পার্থক্য হল এই যে সাহিত্যে রূপক অথবা ভাবপ্রকাশের মাধ্যমে অল্প কথায় অনেক কিছু বোঝানো যায়।শব্দের গভীরতা নিয়ে খেলা করাই সাহিত্যের কাজ।অতিদীর্ঘ কোন কিছুই আমি কখনো লিখতে পারিনা,অল্প কথায় ই আমার যা বলার বলা হয়ে যায় যে কোন গল্প অথবা কবিতায়।এই বইয়েও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।সামান্য ক'টি শব্দে অনেক কিছু ইশারা করতে ভাল লাগে আমার। অলীকালোকে বইয়ে দু'টি গল্প আছে- এই জীবনে এবং মীরুর ছবি নামে।আমাদের প্রাত্যহিক চারপাশের সাধারণ জীবনগুলোর মাঝেও যে আকাঙ্খা,অভিমান,আশার কথা লুকিয়ে থাকে,যে নাটকীয়তা অভিনীত হয় পৃথিবীর এই সংক্ষিপ্ত সময়ে -তার কথা আছে এই বইয়ের দু'টি গল্পে। অলীকালোকে নামকরণের ইতিকথা হল যেহেতু এই বইয়ের সকল চরিত্র ও ঘটনাই কাল্পনিক;অলীক লোকালয়ের কথা তাই বইটির এমন নাম রেখেছি। পড়তে পড়তে যদি জর্দ্দার অপূর্ণতা অথবা মীরুর অপেক্ষায় পাঠক একটিবারও দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, তবেই লেখা সার্থক বলে আনন্দিত হব;স্বস্তি পাব।
নীলা হারুন
লেখক-নীলা হারুন
জন্ম-২৩অক্টোবর
পিতা- মোঃ হারুনুর রশিদ তালুকদার
মাতা- রাশিদা আক্তার
পূর্বপুরুষের নিবাস চাঁদপুর জেলায় হলেও নীলা হারুনের জন্ম এবং বেড়ে উঠা সিলেটের মায়াবী পরিবেশে।ছাপার অক্ষরে এই প্রথম লেখা না হলেও অলীকালোকে তার প্রথম প্রকাশিত একক গ্রন্থ।তার লেখা গল্পে ভারতে "মিস্টেক" নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে,যেটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে।চার ভাইবোনের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ লেখক ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষে অধ্যয়ণরত।