ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক ফয়েজ, পায়ের ইনজুরীতে খোঁড়া হয়ে যাওয়ায় চিরতরে স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয় কিশোর বয়সেই ৷ সেই সময়টাতেই পাড়ায় তার সমবয়সী যারা ক্রিকেট খেকে তাদের সাথে খেলার সুযোগের আশায় ঘুরতে থাকা ছোট্ট রাহাতের মাঝে সম্ভাবনা আর স্বপ্ন দেখেছিলো ফয়েজ। ব্যাট কেনার সামর্থ্য না থাকা ছেলেটাকে গাছের ডাল দিয়ে শ্যাডো করতে দেখে অসাধারণ ভঙ্গিতে, লেগ স্পিনের চেষ্টা করতে দেখে। পাড়ার ক্রিকেটে তবু দুই দলের হয়েই ফিল্ডিং করে ছোট্ট রাহাত। নিজের স্বপ্ন রাহাতকে দিয়ে দেখতে শুরু করে ফয়েজ। কিন্তু স্বপ্নযাত্রা এত সহজ নয়। জীবনের সংকটে প্রায়ই সে মুখ থুবড়ে পড়ে। তারপরেও ফয়েজের মতো, রাহাতের মতো স্বপ্নবাজরা বেঁচে থাকতে চায়। একদিন রাহাতদের উপর ভর করে ক্রিকেট বিশ্বে মাথা তুলে দাড়ানোর সংগ্রাম শুরু হয় বাংলাদেশের। পারবে কি ফয়েজ রাহাতকে দিয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করতে?
রাসয়াত রহমান জিকো
বিক্রয়-বন্ধু রাজিব আহমেদের পরিচিতি বহুমাত্রিক। তিনি লেখক, সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধ ও আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক, বিক্রয় ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষণ-শিল্পী ও পেশা পরামর্শক। জীবনে যখন যে কাজটা করেছেন, সেখানেই মিলেছে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের স্বীকৃতি ও পুরস্কার। বিজ্ঞান কলা আর বাণিজ্যের ক্লোনত ছাত্র হলেও রাজিবের আগ্রহের বিষয় মানুষ ও তাদের কর্মজীবন। তিনি বিপণন, বিক্রয় ব্যবস্থাপনা ও পেশা বিষয়ক এক ডজন বহুল আলােচিত ও চাহিদাপূর্ণ বইয়ের লেখক। লিখেছেন আত্ম-উন্নয়নে প্রেরণাদায়ক বই জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে। বাংলাদেশে এই ধরনের বইয়ের সূত্রপাত করে তিনি বহু পাঠকের উষ্ণ অভিনন্দন লাভ করেছেন। চারটি শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানিতে (রেকিট, বেনকিজার, ইউনিলিভার, বাংলালিংক ও রবি) দুর্দান্ত দশটি বছর কাটিয়ে স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে রাজিব আহমেদ এখন দেশবরেণ্য মুক্ত বিক্রয় প্রশিক্ষক। প্রশিক্ষক হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে জয় করে চলেছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী ও দর্শক-শ্রোতার হৃদয়। প্রশিক্ষিত করেছেন দেড় শতাধিক কোম্পানির ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৬৫, লেখালেখি তার নেশা আর ভালােবাসেন দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে। ভ্রমণ করেছেন সুইডেন, ফ্রান্স, নরওয়ে, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলংকা, মিসর, আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।