গল্পের মেয়েটার নাম মিমু। দুরন্তপনা ছুঁয়ে আছে সমস্ত শরীরে। হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলাটা ওর অভ্যাস। উদ্বট কতাবার্তার ঝুড়ি মেলে বসে রোজ রোজ। ওর কথা বলার ভঙ্গিটা খুব আকর্ষণ করে বড়দের। যখন বাবার বয়সী মুরুব্বি আংকেলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, আংকেল আপনার চুলে টাক হয়েছে কিন্তু দাড়িতে টাক হয়নি কেন? আঙকেল তো পরোপুরি থ! মেয়েটার বয়স বাড়লেও বাচ্চাই থেকে গেছে। আকাশ,পাথর, মেঘ সবকিছু ওর শুধু খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। বেশি সুন্দর কিছু দেখলেই লাফাতে লাফাতে বলবে, েএত্ত সুন্দর কেন? খেয়ে ফেলতেত েইচ্ছে করছে। সরল মেয়েটার দৃষ্টিতে মিশে আছে এক ধরনের মুগ্দতা, অদ্ভুত মুগ্দতা! যেই মুগ্দতাকে ভালোবেসে নিজেকে পুরোপুরি সমর্পণ করে দেয় মেঘালয় আহমেদ। ভালোবাসা পরিমাপের কোনো যন্ত্র থাকলে এই প্রেমটা দৈর্ঘ্য প্রস্থে ভালোবাসাবাসির নতুন সংজ্ঞা দিতো। ুদটো মানুষের একটা মিষ্টি বালোবাসার গল্প ক্রমশই জন্ম দিতে তাকে অদ্ভুত কিছ অনুভূতির । সুখ সুখ এই অনুভুতির নামই হয়তো ভালোবাসা।
মিশু মনি
মিশু মনি। প্রখর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন মেয়েটি দূরন্তপনা ও উচ্ছলতার আরেক নাম। কথা শিল্পের মাধ্যমে অন্যকে একটি কল্পনার জগতে প্রবেশ করানোর মত গুনাবলি থেকেই লিখালিখিটা নেশা হয়ে যায় তার। ১৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে জন্ম নেয়া এই মেয়েটি কৈশোরেই তার ব্যক্তিত্বের মাধুর্য দ্বারা অন্যকে আকৃষ্ট করতে থাকে৷ বাবার নাম মোঃ দুলাল ও মাতা মতিজান বেগম। রংপুরের ছায়াঘেরা গ্রাম "দেবী চৌধুরানী" তে জন্ম গ্রহণ করে শৈশব ও কৈশোর সেখানেই অতিবাহিত করেন। ২০১৬ সালে "চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়" থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১৮ সালে "খাদিজা আবেদীন চৌধুরানী কলেজ" থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মানবসেবা করার প্রবল ইচ্ছা তার রক্তে আন্দোলন তোলে৷ এ লক্ষ্যে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বর্তমানে তিনি "কক্সবাজার নার্সিং ইন্সটিটিউট" এ শিক্ষাগ্রহণ করছেন। সদ্য তারুণ্যে পা রাখা স্বনির্ভর এই নারী স্বপ্ন দেখেন সকল অসহায় নারীদের পাশে থেকে তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে দেয়ার৷ যার জীবনের মূলধারা হচ্ছে, সংগ্রাম, দেশপ্রেম, পরোপকারিতা ও ভালোবাসা দিয়ে অন্যের মুখে হাসি ফোটানো৷