হারানাের ভয় থেকে মানুষ যখন পুরােপুরি মুক্ত হয়ে যায়, তখন মনের ভেতর বাস করা হতাশার পাখিরাও ডানা ঝাপটানাে থামিয়ে দেয় । আশাহীন জীবনে মানুষের চাওয়া নেই। পাওয়া নেই। সুখ নেই । দুঃখ নেই। স্বস্তিও নেই। অনুভূতিহীন মনের নিরুত্তাপ হাহাকার দু-চোখে শুধু জল হয়ে গড়িয়ে নামে । তবু অনুতাপ আসে না মনে । আশা এবং স্বপ্ন যদি মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হয়েই থাকে, তাহলে আশাহীন মানুষ কী নিয়ে বাঁচবে? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে পড়ন প্রেম-বিরহের এক মর্মস্পর্শী উপন্যাস ‘পাষাণ পৃথিবী’ । বইটি সব বয়েসি পাঠককে প্রাণিত করুক—এই প্রত্যাশা।
জসীম আল ফাহিম
জন্ম ১৯৭৯ সালের ৩১ আগস্ট। পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর গ্রামে। পিতা মোহাম্মদ আবদুল হাবিজ। মাতা ফাতেমা বেগম। লেখালেখি করেন ছোটবেলা থেকেই। গল্প লিখেন। উপন্যাস লিখেন। ছড়া-কবিতা লিখেন। বর্তমানে তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটি সিলেটে কর্মরত। লেখালেখির স্বীকিৃতিস্বরূপ জসীম আল ফাহিম ইউনিসেফ কর্তৃক ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০০৭’ এবং কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট কর্তৃক ‘কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পদক ২০০৯’ অর্জন করেন। শিশুকিশোরদের জন্য তার প্রকাশিত বই গল্পগ্রন্থ: ফুলখুকি, ঘাসফড়িঙের জন্মদিন, দুষ্টুমামা মিষ্টিমামা, পরীকুমার, জলপরী, কাঠবিড়ালী পিংকি, ছয় ডিটেকটিভ, কল্পমেঘের গল্প, ফুল পাখি আর প্রজাপতি, ঝিনুক কুমার, শিল্পী পাখি, পিউ আর পরীরানী এবং আবীরের গল্প। উপন্যাস: ভূচং ও চূচং, আনুপাগলীর মুক্তিযুদ্ধ এবং তৃণলতা।