মুক্তিবাহিনীর সাথে কথা বলে জানতে পারি, লঞ্চ নিয়ে যেতে হবে মিলিটারি ক্যাম্পে। তােমার বাবা বলে, একটি ভালাে কাজের সাথে থাকার সুযােগ পেলাম। এতদিনে দেশের জন্য কিছু করতে পারব। তবে শােন। কানাই, আমি যদি মরেও যাই তুই আমার বউয়ের কাছে কিছু বলবি না। আমার বউ আমারে খুব ভালােবাসে। আমার মরার খবর শুনলে ও আর বাঁচবে না। আমাদের। মুক্তিবাহিনী মিলিটারি ক্যাম্প আক্রমণ করে।। মুক্তিবাহিনী দখল করে নেয় ক্যাম্প। ততক্ষণে ক্যাপ্টেন হিরু লস্করের বুকে তিন-তিনটে গুলি লাগে। পানিতে গড়িয়ে পড়ে সে। জোয়ারের টানে কোথায় হারিয়ে। যায় কেউ কিছু বলতে পারে না। আমি গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকি। দেশ স্বাধীন হয়,। তাের বাবা হয়ে যায় নিখােজ। আমি হয়ে উঠি পাগলাকানাই।
মালেক মাহমুদ
শিশুসাহিত্যে অনন্য নাম মালেক মাহমুদ। তার লেখায় ফুটে ওঠে দেশের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা, তিনি অতি সহজে শিশু-কিশােরদের মন ভােলাতে পারেন। নাচাতে পারেন, হাসাতে পারেন। শিশুদের নিয়ে যেতে পারেন স্বপ্ন ও কল্পনার জগতে। তার লেখায় ফুটে ওঠে দেশমাতৃকার কথা। মাটি ও মানুষের কথা। তিনি লিখে চলছেন আপন মনে শিশুদের জন্য। জাতীয় পত্র-পত্রিকায় ছােটদের পাতায় নিয়মিত। প্রকাশ হচ্ছে তার গল্প ও ছড়া-কবিতা।
তিনি বােঝেন শিশু-কিশােরদের মনের ভাষা। তাই তাদের উপযােগী করে রচনা। করেন গল্প। নতুন রঙে ফোটে উঠে। ছড়া-কবিতা। এ সময়ের হাতে গােনা যে। কজন ভালাে লিখছেন মালেক মাহমুদ তাদের মধ্যে অন্যতম।
তিনি শিশু কিশােরদের জন্য ছড়া-কবিতার বই লিখেছেন ৩৩টি। গল্পের বই ১৮টি। সম্পাদনা বই ৩টি। সবুজ প্রজাপতি লাল ফড়িং' মালেক মাহমুদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিশাের উপযােগী গল্পগ্রন্থ। সমাজ বাস্তবতায় তাঁর এ গল্পগ্রন্থ কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। মালেক মাহমুদের জন্ম-৫ এপ্রিল ১৯৬৯ কন্যা- নাজয়ন্নাহার রত্না। স্ত্রী-নিলুফা ইয়াসমিন। তিনি বাংলা একাডেমির সদস্য। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার।