আমরা কি করেছি...? ৩০ লক্ষ শহীদের জন্য। যারা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে রেখে গেল কাঙ্খিত স্বাধীনতা...। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ওদার্ত আহ্বানে। এক সুকঠিন শৃঙ্খল থেকে ওরা দিয়ে গেল মুক্তি অসংখ্য ফুল পাখি। একটি দেশের একটি জাতির..... প্রতিদান তার কতটা দিয়েছি আমরা...? কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে জাতির জনকের সেই স্বপ্নের....! আজ প্রশ্ন জাগে? স্বৈরশাসনে চরম দূর্নীতি আর নির্মম শােষণে পিষ্ট জাতি... কেন বন্দি ছিলাে স্বদেশী শােষকের'কারাগারে? এই সােনার বাংলায় গণতন্ত্রের এসেছে মুক্তি বিনিময়ে রাজপথে ঝরেছে রক্ত, অগণিত দুঃখী মানুষের মুখে। হাসি ফোটানাের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাবাে কি? সম্ভাবনাময় নতুন বাংলা গড়ার লক্ষ্যে...! আজ প্রশ্ন জাগে?? আর কতদিনে প্রজন্ম দেখবে। ৩০ লক্ষ শহীদের সেই কাঙ্খিত বাংলাদেশ!
গাজী মোঃ আলিমুদ্দীন
চিরন্তন গ্রামবাংলার নিবৃত পল্লীর চিরচেনা কাঁদামাটি আর সােনালী ধানক্ষেতের ছােয়ায় কেটেছে যার স্মৃতিময় শৈশব কৈশাের । সময় পরিক্রমায় সংসার জীবনে নানান ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গে যুদ্ধ করে যার বেড়ে ওঠা এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় মনােনিবেশ। একান্ত ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় সুপ্ত প্রতীভার বিকাশ ঘটিয়ে যিনি সাহিত্য অর্জনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি গাজী মােঃ আলিমুদ্দীন। তিনি ১৯৫৯ সালের ১৯ মে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানাধীন। হরিহরনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম কোমর উদ্দিন গাজী এবং মাতা মরহুমা ছনেকা বেগম। ছাত্রজীবনে নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এইচ এম এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে পাইকগাছা ডিগ্রি কলেজে পড়াশুনা ও খুলনার সুন্দরবন কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় কম্পার্ত পান। পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার জন্য পড়াশুনার পরিসমাপ্তি ঘটে। কর্মজীবনে তিনি এইচ এম এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৬ সালে শিক্ষকতায় যােগদান করেন। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন।