হারুকি মুরাকামির ‘শুটনিক সুইটহার্ট’ আমার সবচেয়ে পছন্দের উপন্যাসগুলাের একটি। বইটির অনুবাদ শুরু করেছিলাম অনেক আগে কিন্তু অলসতা আর অসুস্থতার কারণে কাজ অনেকদিন বন্ধ ছিল। প্রকাশক চাপ দিলে বইটির অনুবাদ আদৌ শেষ হত কি না সন্দেহ আছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কবি, ঔপন্যাসিক এবং সঙ্গীত শিল্পী ফারিয়া প্রেমাকে বরাবরের মতাে ধন্যবাদ বইটির সম্পাদনার গুরুদায়িত্বটি নিজ কাঁধে নেয়ার জন্য। তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
‘শুটনিক সুইটহার্ট’ জাপানিজ থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের কাজটি করেছেন ফিলিপ গ্যাব্রিয়েল, তার ইংরেজি অনুবাদ থেকে আমি বাংলায় অনুবাদ করেছি। তাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সামনে আরাে একটি মুরাকামি হয়তাে আপনারা আমার দুর্বল অনুবাদে পাবেন, সেটি হল ১ কিউ ৮৪'। ১ কিউ ৮৪ তিন খণ্ডের বিশাল একটি বই। জানি না কবে এর অনুবাদ শেষ হবে, আর কবে পাঠকদের হাতে বইটি তুলে দিতে পারব। আশা করছি স্পুটনিক সুইটহার্ট’ সবার ভালাে লাগবে।
হারুকি মুরাকামি
সমসাময়িক পৃথিবীর সর্বাধিক জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে অন্যতম হারুকি মুরাকামির জন্ম ১২ জানুয়ারি, ১৯৪৯, জাপানের কিয়ােটো শহরে। বর্তমানে টোকিওতে বসবাসরত এই লেখক এ পর্যন্ত লিখেছেন তেরােটি উপন্যাস এবং চারটি গল্পগ্রন্থ, যেগুলাে অনূদিত হয়েছে। পঞ্চাশটিরও অধিক ভাষায়। তার রচিত কথাসাহিত্য তাকে জাপান ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমালােচকদের প্রশংসা ও অনেক পুরস্কার এনে দিয়েছে। এইসকল পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ফ্যান্টাসি অ্যাওয়ার্ড (২০০৬), ফ্রাংক ও’কনার আন্তর্জাতিক ছােটগল্প পুরস্কার অপরদিকে তার সমস্ত শিল্পসম্ভারের জন্য ফ্রানৎস কাফকা পুরস্কার (২০০৬) এবং জেরুজালেম পুরস্কার (২০০৯) অন্যতম।
দি গার্ডিয়েনের স্টিভেন পুল সাহিত্যকর্মের জন্য হারুকি মুরাকামিকে পৃথিবীর জীবিত সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম বলে আখ্যা দেন।
তিনি গত এক দশকে কয়েকবার সাহিত্যে নােবেল পুরস্কারের জন্য শর্ট লিস্টেড হয়েছেন।