আমাদের সমাজে এমন কিছু ব্যক্তি পাওয়া যাবে যারা আর দশজন মানুষ থেকে ভিন্ন। তারা অনেক ক্ষেত্রে নিঃসঙ্গ এবং তাদের চারপাশের জগৎ ও মানুষ সম্পর্কে উদাসীন। এরা অন্যের সাথে কখনোই কোনো সামাজিক বা আবেগিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না। এমনকি তার পরিবারের সদস্যদের সাথেও দু-একটি বিষয় ছাড়া কোনো আন্তযোগাযোগ বা মনোভাবের আদান-প্রদানে সক্ষম নয়। কখনো কখনো এমন কিছু পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ করে যা সবার দৃষ্টিতে শোভনীয় নয়। এরা অন্য মানুষের চিন্তা, অনূভুতি ও চাহিদা বুঝতে পারে না। ব্যক্তির এরূপ আচরণ পর্যবেক্ষণ করে প্রথম ‘পল উগেন ব্লোইলার’ নামের একজন চিকিৎসক ১৯১২ সালে এই সমস্যার নামকরণ করেন ‘অটিজম’, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘আত্ম-মগ্ন ব্যক্তি’। অর্থাৎ যে ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে নিয়েই মগ্ন থাকতে পছন্দ করে এবং খুব কম ক্ষেত্রেই অন্যের সাথে ভাববিনিময়ের চেষ্টা করে।
দিন দিন এ রকম অটিজম মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অটিজম সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও ঠিক সময়ে সম্মিলিত চিকিৎসা নিলে অটিজমের মাত্রা অনেক অংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিতলি মূলত একজন অটিস্টিক শিশুর গল্প।
উম্মে শায়লা রুমকী
"পিতা: মো. সালেক আহমেদ মাতা: জাহানারা বেগম জন্ম: রাঙ্গামাটির মাইনীমুখ। বাবার সরকারি কর্মসূত্রে শৈশবের কিছু সময় কেটেছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এবং বেশির ভাগ সময় চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি প্রথম বিভাগে পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদ থেকে ফিজিওথেরাপি বিষয়ে গ্রাজুয়েশন ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট (ইসিডি) মাস্টার্স করে ২০১৩ সালে গড়ে তুলেছেন ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (পিটিআরসি) নামে একটি অত্যাধুনিক ফিজিওথেরাপি সেন্টার। এই প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, চাইল্ড ডেভেলপমেন্টাল থেরাপিসহ জনগণকে সচেতন করতে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রামে আমেরিকান ফেলোশিপ পান। বর্তমানে লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ফিজিওথেরাপি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নানাবিধ সমস্যার সমাধান ও সচেতনতা সৃষ্টি করে চলছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কাজ করে চলছেন।